চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ এবং পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকার হরণের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইউপিডিএফের ডাকে বুধবার রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় শান্তিপূর্নভাবে আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত হয়েছে।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার চাকমার সইকৃত এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাঙামটি জেলায় অবরোধ চলাকালে ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্ষন্ত চট্টগ্রাম -রাঙামাটি সড়কের বেতবুনিয়া এলাকায়, রাঙামাটি সদরের ভেদভেদি এলাকায়, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের সাপছড়ি, কতুকছড়ি,ঘিলাছড়ি, সোনারাম কার্বারী পাড়া (১৮ মাইল) এলাকা, দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি-সাজেক পর্যটন সড়কের উজো বাজার, মাচলং, মারিশ্যা ১০ নম্বর এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে পিকেটিং করা হয়। খাগড়াছড়িতে আধা বেলা অবরোধ চলাকালে জেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস এলাকা উপজেলা পরিষদ এলাকা (খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়ক), শিবন্দির এলাকা, গুইমারা উপজেলার খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের বাইল্যাছড়ি-জালিয়া পাড়া, মানিকছড়ি উপজেলার জামতলা এলাকায় খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে, রামগড় উপজেলায় খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়ক এবং পানছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও লক্সীছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়কে আগুন দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অবরোধের কারণে জেলা ও উপজেলাগুলোতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। জেলা সদর থেকে দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যায়নি। অবরোধ চলাকালে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণকে অধিকারহীন করার লক্ষে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলসহ রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিবৃতিতে অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করে চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বলবৎ রাখা, পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাবি জানানো হয়েছে।
--প্রেস বিজ্ঞপ্তি।