চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেশকে অনিবার্যভাবে গভীর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অরাজকতা ও মহাবিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে। দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ,অংশগ্রহণ মূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ, ভয়-ভীতিমুক্ত ও অনুকুল পরিবেশ নেই।
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের মুখপাত্র নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি প্রসিত খীসা এসব দাবী করেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যেখানে পাহাড়ের অপশাসনের দৌরাত্ম্যে জনগণ অসহায়, সেখানে পাহাড়িদের ন্যূনতম মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার নির্বাসিত এবং যেখানে ইউপিডিএফসহ পাহাড়িদের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর অবর্ণনীয় রাজনৈতিক দমন-পীড়ন অব্যাহতভাবে চলমান রয়েছে। এখনো ইউপিডিএফের অনেক নেতা-কর্মী কারাগারে অন্তরীণ, সেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনই সম্ভব হতে পারে না। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সংখ্যালঘু জাতিসমূহকে বাদ দিয়ে খন্ডিতভাবে দেশে গণতন্ত্র কায়েম হতে পারে না। দেশে বর্তমান সাংবিধানিক সংকট ও গণতন্ত্রহীনতা এ সত্যতার প্রমাণ দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের আস্থা লাভকারী ক্রিয়াশীল আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করা। যার দায়িত্ব হবে দেশে সকল শ্রেণী ও জাতিসত্তার আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করা। সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা প্রদর্শন করে গভীর রাজনৈতিক খাদে পতনোন্মুখ অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধারের বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
--প্রেস বিজ্ঞপ্তি।