বিএনপির দেশ জুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের অংশ হিসেবে রোববার রাঙামাটিতে ঢিলেঢালাভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। ভোরের দিকে শহরের ভেদভেদী এলাকা থেকে পিকেটিং এ প্রস্তুতিকালে ৯জনকে আটক করেছে পুলিশ।
হরতাল চলাকালে শহরের সকল প্রকার দোকানপাট খোলা ছিল। শহরের একমাত্র গণ পরিবহন সিএনজি অটোরিক্সা সকালের দিকে সীমিত আকারে চললেও দুপুরের দিকে এর চলাচল বেড়ে যায়। এছাড়া দুরাপাল্লার যানবাহন ও যাত্রীবাহী লঞ্চ বোট সীমিত আকারে ছেড়ে গেছে। হরতালে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হরতালে রাস্তায় বিএনপির কোন নেতা-কর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। জেলা বিএনপি কার্যালয়ে কোন নেতা-কর্মীর উপস্থিতি ছিল না। কার্যালয়টি তালা দেওয়া রয়েছে। এদিকে, পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শহরের বনরুপা এলাকায় পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সোলেয়মান চৌধুরীর নেতৃতত্বে অবস্থান ও শান্তি সমাবেশ করেছে।
অপরদিকে, শহরের ভেদেভেদী এলাকা থেকে ভোরের দিকে হরতালের পিকেটিং এর প্রস্তুতির সময় ৯জন বিএনপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃরা হলেন, রাঙামাটি পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম, রাঙাামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সংগঠন মোঃ জসিম উদ্দীন, রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম,যুগ্ম আহ্বায়ক ফায়জুর রহমান, ১নং ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায় মোঃ ওসমান,রাঙামাটি সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার, নানিয়ারচর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ ভাই,রাঙামাটি পৌর কৃষক দলের সহসাধারণ সম্পাদক মামুন।
বিএনপির জেলা শাখার সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু দাবী করেছেন পুলিশ বিনা অপরাধে বিএনপির ১০ জন কমীর্কে আটক করেছে। এছাড়া পুলিশ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভীতিকর অবস্থায় রয়েছেন।
সত্যাতা নিশ্চিত করে রাঙামাটি কতেয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল আমীন জানান, ৯জনকে আটকের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.