পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, যে জাতি তার সাংস্কৃতিকে বিকশিত করতে পারে না সে জাতি এক সময় হারিয়ে যেতে বাধ্য। তাই যে জাতি নিজের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে সেই জাতি তত বিকশিত ও উন্নত হবে। তাই সংস্কৃতি বিকাশের জন্য সকলকে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ী ও অন্যান্য সম্প্রদায় এবং দেশের সকল সম্প্রদায়ের লোকজনের যে যার ধর্ম, সংস্কৃতি, কৃষ্টি রয়েছে তারা যেন নিরাপদের সহিত লালন-পালন করতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। সে লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য মানুষের ভাগ্য,সংস্কৃতি উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের জাতিসত্বা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার রাঙামাটিতে সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন হিলর ভালেদী ও হিলর প্রোডাকশনের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট মিলনায়নে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে হিলর প্রোডাকশনের সভাপতি সুপ্রিয় চাকমা শুভ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, হিলর ভালেদী ও শুভ। অনুষ্ঠানে শুরুর আগে সংগঠনের চাকমা ভাষায় নির্মিত স্বপ্ল দৈর্ষ্য চলচিত্র পোড়া কবাল্লে(পোড়া কপাল) এর পর্দা উন্মোচন ও কেক কাটেন প্রধান অতিথি। এর আগে একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতা বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। পোড়া কবাল্লে চলচিত্রটি পাহাড়ে সমাজের নানান অসঙ্গতি, দারিদ্রতা ও নারী সমাজের অবহেলার বিষয়টি ফুটে তোলা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকম আরো বলেন, হিলর ভালেদী ও হিলর প্রোডাকশন স্বেচ্ছা সেবার পাশাপশি সংস্কৃতি উন্নয়নের জন্য কাজ কওে যাচ্ছে। আগামীতে এই সংগঠনটি তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। তিনি হিলর ভালেদী ও হিলর প্রোডাকশনের জন্য পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড থেকে সহযোগিতার আশ^াস দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.