জুরাছড়ি উপজেলায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, কিশোর-কিশোরীর যত্ন, পুষ্টি ও ব্যাক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে স্কুলের শিক্ষিকাদের অংশগ্রহনে রোববার এক অবহিতকরণ এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
আইইএম ইউনিট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে আয়োজনে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সম্মেলন কক্ষে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল আলম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাদজ্জাদ হোসেন ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশিষ কুমার ধর। কর্মশালায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষিকারা অংশ নেন।
কর্মশাালায় উল্লেখ করা হয়, দেশের প্রতি তিন জন কিশোরীর একজন (৩২.৭%) ১৯ বছরের মধ্যে মা বা গর্ভবতী হচ্ছেন যা মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ১৩-১৫ বছর বয়সের কিশোরীদের এক-তৃতীয়াংশ এবং ১৮-১৯ বছর বয়সের তিন চতুর্থাংশ কিশোরীরা সন্তান ধারণ শুরু করছে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় অশিক্ষা, অসচেতনতায় ও কুসংস্কারে এখনো গ্রাস করছে। যার প্রতিফলনে অপ্রাপ্ত বয়সে ছেলে-মেয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিয়ের পরত্তি সময়ে মেয়েরা গর্ভকালীন অস্বাস্থ্য ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছন। এ অপষ্টিহীনতা মায়ের প্রসবন কালীন মা ও শিশুর মৃত্যুর ঝুকিতে থেকে যায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.