অতীতের সকল গ্লানি ধুয়ে মুছে ফেলে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে শনিবার রাঙামাটিতে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলোৎবের আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবের মাধ্যমে এবারের রাঙামাটিতে মারমা সম্প্রদায়ের জলোৎবের সমাপ্তি ঘটলো।
শহরের আসামবস্তীস্থ নারিকেল বাগান এলাকায় মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা (মাসাস্) জেলা শাখার উদ্যোগে জল খেলীর উদ্ধোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। মাসাস-এর উপদেষ্টা চিংকিউ রোয়াজার সভাপতিত্বে সন্মানিত অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুছা মাতব্বর। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্টে কর্নেল মালিক সামস্ উদ্দিন মোঃ মঈন পিএসসি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, অমিত চাকমা (রাজু), সুবীর কুমার চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখনে, মাসাস্ এর রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিন্টু মারমা।
উৎসবে প্রধান অতিথি শান্তির ঘন্টা বাজিয়ে ও পানি ছিটিয়ে দিয়ে জালোৎসবের উদ্বোধন করেন। এর পর মারমা সম্প্রদায়ের তরুন-তরুনীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে দিয়ে উৎসবেমেতে উঠেন। অনুষ্ঠানে মাসাসের শিল্পী গোষ্ঠীদের পরিচালনায় পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবে শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা জাতিগত সকল ভেদাভেদ ভুলে নতুন বছরে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই উৎসবে রঙ্গিণ করে তুলতে সকল মানুষের মিলন খুবই জরুরী ও প্রয়োজনীয়। তাই উৎসবের এ দিনে সকলকে সকল ভেদাভেদ ভুলে একে অন্যের হয়ে কাজ করতে হবে। সকলে যদি একে অন্যের হয়ে কাজ করতে পারে এ উৎসবের রঙ ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সকল ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। দেশের মানুষ যাতে তার ধর্ম সঠিক ভাবে পালন করতে পারে তার জন্য প্রত্যেক জেলা উপজেলায় মন্দির, মসজিদ, গীর্জা ও বিহার সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে চলেছে। তিনি সরকারের এ কর্মকান্ডে জনগনকে আরও বেশী করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.