শুক্রবার রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটরকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ির আর্যগিরি বনবিহারে উদযাপিত হয়েছে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব।
বিহার প্রাঙ্গনে আয়োজিক দুইদিন ব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শুক্রবার শেষ দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য ছিল বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান,পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রপাঠসহ নানাবিধ দানের আয়োজন করা হয়। দুপুরে আয়োজন করা হয় ধর্মীয় আলোচনা সভা। এতে আটকরকছড়া আর্যগিরি বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ অমর রতন্ন স্থবিরের সভাপতিত্বে ধর্ম দেশনা দেন সাধনাটিলা বনবিহারের বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুদ্ধবংশ মহাস্থবির, রাঙামাটি রাজবন বিহারের শ্রীমৎ মুদিতা বংশ মহাস্থবির ও জয়বর্ধন স্থবির প্রমূখ ভিক্ষু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার টিটন খীসা, ১নং আটরকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকম্যা প্রমূখ। বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অজয় চাকমা (মিত্র) ও বিহার পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দিবাকর চাকমা। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সূতা থেকে তুলা ও কাপড় বুনন করে তৈরী করা কঠিন চীবর উপস্থিত ভিক্ষু সংঘের কাছে দান করা হয়। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থীর ঢল নামে। দুপুরে কল্পতরু ও কঠিন চীবর নিয়ে পুরো বিহার এলাকা প্রদণি করে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
ধর্মদেশনায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বলেন, বৌদ্ধদের সর্বশ্রেষ্ঠ দানই হচ্ছে কঠিন চীবর দান। ২৪ঘন্টার মধ্যে গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা বিশাখা চীবর বুনে গৌতম বুদ্ধকে দান করেছেন। যা সহজেই এ দান করা সম্ভব নয়। যার কারণে এ দানই শ্রেষ্ঠদান বলা হয়ে থাকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.