কমলা রঙের বিশে^ নারী, বাধার পথ দেবেই পাড়ি- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ দিবস উপলক্ষে বুধবার রাঙামাটির কাউখালীতে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাউখালী উপজেলার অডিটোরিয়ামের সম্মেলন কক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ), উইমেন রিসোর্স নেটওয়াক ও নারী প্রগতি সংঘ’র এর অর্থায়নে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উইমেন্স এডুকেশন ফর এডভান্সমেন্ট এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট (উইভ) উদ্যোগে ওমেন’স ভয়েস এন্ড লিডারসীপ- বাংলাদেশ প্রকল্প এবং ওমেন’স এমপাওয়ারমেন্ট কর্মসূচির আওতায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সামশু দোহা চৌধুরী। কাউখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শতরুপা তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অথিতি হিসেবে, কাউখালী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিবাইউ মারমা ও উইমেন্স এডুকেশন ফর এডভান্সমেন্ট এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট (উইভ)’র নির্বাহী কর্মকর্তা নাই উ প্রু মারমা মের। সভা সঞ্চলানা করেন ‘‘নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন’’ শীর্ষক প্রকল্পের সমন্বয়ক ফল্লরা চাকমা। সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অথিতি মোঃ সামশু দোহা চৌধুরী বলেন, সমাজের প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া নারী সহিংসতা বন্ধে শুধু সরকারের উপর দায়িত্ব দিয়ে দিলেই হবে না। প্রয়োজন সকলের আন্তরিক সহযোগিতা। কারণ সকলের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ ছাড়া সরকারের একার পে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান, “নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সমন্বিত চেষ্টা করতে হবে। এজন্য পাঁচটি ফেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ- প্রথমত সরকারের সকল পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সহযোগিতা, দ্বিতীয়ত জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানো, তৃতীয়ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে তথ্য ও সহযোগিতা প্রদান, চতুর্থত সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তিকরণ যারা সমাজের কথাগুলোকে তোলে ধরেন এবং পঞ্চমত শিতি জনগোষ্ঠী ও সমাজে প্রভাবশালী ব্যক্তির সক্রিয় ভূমিকা পালন।”
এসময় উইমেন্স এডুকেশন ফর এডভান্সমেন্ট এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট (উইভ)’র নির্বাহী কর্মকর্তা নাই উ প্রু মারমা মেরী বলেন, “প্রত্যেক জায়গায় নারীদের নিজের উপর নিজের সাহস রাখতে হবে। নারীসহ সকলকে সচেতন করতে হবে নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীর নিজের কোনো দোষ নয়, বরং নির্যাতনকারীই এর জন্য দোষী। সবাইকে একত্রিত করে চিন্তা ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে নারী প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হবে।” “আমরা চাই আর কোনো নারী যাতে নির্যাতনের শিকার না হয়।” নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সকলের পাশাপাশি করপোরেট সেক্টরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.