জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের তৃতীয় দিনে সোমবার রাঙামাটিতে হাইকিং ও ট্রেইল রান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের তৃতীয় দিনে সোমবার রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি সেতু থেকে কাপ্তাইয়ের কর্ণফূলী কলেজ প্রাঙ্গন পর্ষন্ত ২১ কিলোমিটার হাইকিং ও ট্রেইল রান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা প্রকাশ কান্তি চৌধুরী,ওসিয়ান সেলর অ্যাডভেঞ্চারের প্রতিনিধি এ্যানি কোয়েমেরিসহ অন্যান্য প্রমুখ। এই প্রতিযোগিতায় দেশী-বিদেশীসহ ৩২ জন প্রতিযোগি অংশ করেছেন।
অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ও সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে এবং তরুন সমাজকে খেলাধুলায় ও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসকে আকৃষ্ট করতে এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ৫দিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসব তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি,বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে পৃথক পৃথকভাবে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের মধ্যে রয়েছে মাউন্টেইন বাইকিং, কায়াকিং, দি ট্রেইল হাইকিং, কেভ ডিসকভারি,হাইকিং, ট্রেইল রান, ফুরমোন বাইকিংসহ ইত্যাদি প্রতিযোগিতা। এতে পার্বত্যাঞ্চল থেকে ৩১জন, দেশের অন্যান্য স্থান হতে ৫০জন এবং বিদেশী ১৬জনসহ মোট ১’শ জন অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিয়েছেন। আগামী বুধবার রাঙামাটিতে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপিত ঘটবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডেও চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম বারের মতো বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় এই অ্যাডভেঞ্চার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই উৎসবে ভারত নেপাল ও ফ্রান্স থেকে প্রতিযোগি অংশ গ্রহন করেছেন। তাই এই উৎসবটি শুধু জাতীয় উৎসব নয় এটি একটি আর্ন্তজাতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই উৎসবের মাধ্যমে অ্যাভেঞ্চার স্পোর্টস ও পর্যটন শিল্পকে বিকশিত ও উৎসাহিত করাসহ এই অ্যাভেঞ্চার স্পোর্টস এর মাধ্যমে তরুন সমাজ খেলাধুলায় আকৃষ্ট করবে। এখানে সাধারন পর্যটন বলতে পর্যটকরা আসবেন খাবেন, ঘুরে বেড়াবেন এটার জন্য নয়। এই অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রমের মাধ্যমে মাউন্টেইন বাইকিং, কায়াকিং, দি ট্রেইল হাইকিং, কেভ ডিসকভারি,হাইকিং, ট্রেইল রান ইত্যাদি অ্যাভেঞ্চার স্পোর্টস এ তরুন সমাজ আকৃষ্ট ও আগ্রহী হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.