খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মনাটেক যাদুগানালায় শুক্রবার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ ও সাতাঁর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে।
মনাটেক যাদুগানালা মৎস্যচাষ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্যোগে মনাটেক হ্রদে পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল। স্বাগত বক্তব্যে দেন মনাটেক যাদুগানালা মৎস্যচাষ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি রত্ন উজ্জল চাকমা। এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপভোগ করতে মনাটেক যাদুগানালাসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজারের অধিক মানুষ ভীড় জমান।
ঐতিবাহী নৌকা বাইচ ও সাতাঁর প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম হন মনদ্বয় চাকমা, প্রাণোদ্বয় চাকমা, তুহিন চাকমা, দ্বিতীয় হন অলি খীসা, কারপন চাকমা, আশাপ্রিয় চাকমা, কালাবাবু. তৃতীয় হন নিক্সন চাকমা, নেপচুন, প্রদীপ চাকমা, চিমুনি চাকমা। এ প্রতিযোগিতায় ৪ জন করে মোট ১২ টি দল অংশগ্রহন করে।
এছাড়া ৫০০ মিটার দুরত্বে উন্মুক্ত সাঁতার প্রতিযোগিতায় ২০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। এর মধ্য প্রথম স্থান লাভ করেন উক্যচিং মারমা, দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন নবারুণ চাকমা ও তৃতীয় স্থান লাভ করেন বাবুলুক চাকমা।
আয়োজক কমিটির রত্ন উজ্জল চাকমা বলেন, আগামীতে আরো বৃহত্তর পরিসরে এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা বলেন, নৌকা বাইচ ও সাতাঁর প্রতিযোগিতা আমাদের দেশে একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। এ খেলা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাও বটে। তাছাড়া সাতাঁর জানা যে কোন মানুষের জন্য অতিগুরুত্বপুর্ন । প্রতি বছর সাতাঁর না জানার কারণে শিশুসহ অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। তিনি আগামীতে এ আয়োজন বৃহত্তর পরিসরে করা হলে উপজেলা পরিষদের পক্ষ সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.