সমাবেশে বক্তারা বলেন, একতরফাভাবে রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। তার জন্য কোন অনাকাংখিত ঘটনা ঘটলে সরকরাই দায়ী থাকবে। পাশাপশি বক্তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়ে তাও প্রত্যাহারের দাবী করে।
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি জ্যোতিষ্মান চাকমা বুলবুল। প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা উদয়ন ত্রিপুরা। বক্তব্যে দেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রিপেশ চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির জেলা শাখা তথ্য ও প্রচার সম্পাদক পাবেল চাকমা।
এর আগে একটি বিক্ষোভ-মিছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা কার্যালয় থেকে শুরু করে বনরুপা ঘুরে গিয়ে জেলা প্রশাসন কার্যায় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
বক্তারা রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা কমিটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য রাখার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানান। জনসংহতি সমিতি ও আঞ্চলিক পরিষদকে জড়িয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নেয়া সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র মূলক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনসংহতি সমিতির নেতা উদয়ন ত্রিপুরা বলেন, বুধবারে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সভায় জনসংহতি সমিতি ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ছাড়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বৈঠক হয়েছে। অথচ বলা হচ্ছে বৈঠকে জনসংহতি ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য উপস্থিত ছিল। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সরকারের একটি ষড়যন্ত্র। ।
উল্লেখ্য গত ১০ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী টেলি কনফারেন্সের মাধ্যেমে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর প্রতিবাদেসেদিন রাঙ্গামাটিজেলায় অবরোধের ডাকদেয় পিসিপি। এই অবরোধকেকেন্দ্র করে শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ১৪৪ এবং পরবর্তীতে কারফিউ জারি করা হয়। এর পর থেকে মেডিকেল কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.