চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত সামাজিক নেতৃবৃন্দ থেকে সবাইকে নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করতে হবে। এর বিরুদ্ধে ধর্মীয় গুরু ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকায় ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আদিবাসী নারীদেরকে স্থান ভেদে নানান কৌশল অবলম্বন করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য জনগোষ্ঠীদের সামাজিক আইনে ধর্মের সম্পৃক্ততা থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সমাজে প্রথাগত ও পারিবারিক আইনে ধর্মের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আদিবাসী জনগোষ্ঠী দ্বারা এ প্রথাগত ও পারিবারিক আইন তৈরী হয়েছে। জনগোষ্ঠীরা চাইলে তা বদলাতে পারেন। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা আইনের কোন বাধা নেই। তাই এ প্রথাগত ও সামাজিক আইন কালপত্র ভেদে প্রয়োগ ও চর্চা করতে হবে।
মঙ্গলবার রাঙামাটিতে নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যুব ও প্রথাগত নেতৃত্বের ভুমিকা শীর্ষক দিন ব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহরের রাজবাড়ীস্থ সাবারাং রেষ্টুন্টে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হিমাওয়ান্টি’র উদ্যোগে অয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন হিমাওয়ান্টির নির্বাহী পরিচালক টুকু তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিএইচডিএফ-ইউএনডিপির কর্মকর্তা উচি মং চৌধুরী, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারন সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা, সিএইচডিএফ-ইউএনডিপির ব্লাষ্ট প্রকল্পের এ্যাডভোকেসি অফিসার মুক্তশ্রী চাকমা সাথী প্রমুখ। দিন ব্যাপী কর্মশালায় রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন মৌজার নারী হেডম্যান( সামাজিক প্রধান) ও কারবারীসহ যুব দলের ইয়েস গ্রুপ অংশ নেন।
কর্মশালায় অংশ গ্রহনকারীরা নারীর ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণ, বিচার কার্য পচিালনায় চ্যালেঞ্জ ও তার উত্তরণের উপায় এবং নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কৌশল নিয়ে দলীয় উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমস্যা ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.