পর্যটন স্পট ‘মায়াবিনী’র গড়ার পর আবারও আকর্ষনীয় ও মনোমুগ্ধকর নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠেছে ‘মায়া কানন’।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাশেম ও উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়াম্যান মোঃ লোকমান হোসেনের একান্ত প্রচেষ্টায় এ পর্যটন স্পটগুলো গড়ে উঠেছে। এটি উপজেলা সদরের একমাত্র পর্যটন স্পট। বিনোদনের জন্য প্রতিদিন শত শত লোক এ পর্যটন স্পটে আসে। এ পর্যটন স্পটটি দিন দিন প্রধান আকর্যনীয় পর্যটন স্পট হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।
গেল ২৭ আগষ্ট বিকেল ৫টায় এ পর্যটন স্পটের শুভ উদ্বোধন করেন উপজাতীয় ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
‘মায়া কানন’ সম্পর্কে পানছড়ি উপজেলা উপজেলা আ’লীগ নেতা বিজয় কুমার দেব ও সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা একান্ত সচিব খগেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন- প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর শেখ হাসিনা সরকারের ¯্রােতধারার উন্নয়নে পাহাড়ে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। তারই অংশ ‘মায়া কানন’। এর আগে খাগড়াছড়ি জেলায় ব্যাপক আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে পানছড়ির ‘মায়াবিনী’। আর নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে ‘মায়া কানন’ও ব্যাপক স্বীকৃতি পাবে। এ দুই পর্যটন স্পট খুবই আকর্ষনীয় ও মনোমুগ্ধকর। পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাশেম ও উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ লোকমান হোসেনের একান্ত প্রচেষ্টায় এ পর্যটন স্পটগুলো গড়ে উঠেছে।
পানছড়ি প্রেসক্লাবে সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহজাহান করিব সাজু বলেন- মানুষের মনকে আকৃষ্ট করে ‘মায়া কানন’। পানছড়ি উপজেলা প্রশাসনের যুগোপযোগী আর একান্ত প্রচেষ্টার ফলে দুটি পর্যটন স্পট পেল পানছড়িবাসী। একটি মায়াবিনী অপরটি নতুন পর্যটন স্পট ‘মায়া কানন’। মায়া কাননের ফলে রাত অব্দি পর্যন্ত নিরাপদে আনন্দ উপভোগের সুযোগ পাবে। তাই পানছড়িবাসী এ ইউএনও ও উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।
পানছড়ি উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন বলেন- উপজেলার সদরে কোনো ধরনের পর্যটন স্পট না থাকায় উপজেলাবাসী চিত্তো বিনোদনের সুবিধা থেকে নিয়মিত বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলাবাসীকে বিনোদনের সুবিধা দেওয়ার জন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। আশাকরি সকলের সহযোগিতায় এটি উপজেলার প্রধান আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট হিসেবে এটি স্বীকৃতি পাবে।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাশেম বলেন-উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাসে নিবিড় নিরাপত্তাবেস্টিত এ বিনোদন কেন্দ্র স্থানীয় ও বাইরের পর্যটকগণ যাতে রাত অব্দি পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটাতে পারেন সে উদ্দেশ্যে এ বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এটি জেলার সবচেয়ে আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি সকল প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য সতীশ চন্দ্র চাকমা, সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা, সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল ও খাগড়াছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম বলেন- বলেন- মায়া কানন খুবই আকর্ষনীয় একটি পর্যটন স্পট। পড়ন্ত বিকেলে এ স্পটে এসে প্রকৃতির আসল স্বাধ পেয়ে মন-প্রাণ দুটোই জুরিয়ে গেছে। তাঁরা এ পর্যটন স্পটের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধিরও কামনা করেন।
উদ্বোধনের সময় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন- শিক্ষানুরাগী, পর্যটন ও জনববান্ধব উপজেলা প্রশাসক আবুল হাশেম। এর আগে তিনি ‘মায়াবিনী’ নামে পর্যটন স্পট গড়ে তোলেন। যা খাগড়াছড়িতে পর্যটন স্পট হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আর এবার উপজেলা সদরে গড়ে তুলেছেন ‘মায়া কানন’। উপজেলা সদরে একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে এটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করবে। এ সময় তিনি এ পর্যটন স্পটে বিভিন্নভাবে সহায়তা করারও আশ্বাস দেন।
কী কী দেখবেন মায়া কাননে ঃ এ স্পটের প্রধান আকর্ষন চেংগী নদী। এ স্পটটি চেংগী নদীর ধারে অবস্থিত। এ স্পট থেকে চেংগী নদীকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দেখা যায়। পড়ন্ত বিকেলে এ নদীটি খুব বেশী আকর্ষনীয় হয়ে উঠে। উপজেলার রাবার ড্যামে পানি রাখা হলে এ নদীরি সৌন্দর্ষ আরো বেশী আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে। রয়েছে অনেকগুলো দোলনা, পানছড়ি উপজেলার মানচিত্র। বসার জন্য রয়েছে গোল চত্তর। যা আকর্ষনীয় ছাতা দিয়ে আরো বেশী আকর্ষনীয় দেখা যায়। একটি শনের আর একটি লাল রংয়ের তৈরী দুটি গোল ঘর। উপজেলা প্রশাসনের দুটি পুকুর। বিকেলে হেটে ব্যায়াম করার জন্য পুকুরগুলো চারিদিকে তৈরী করা হয়েছে রাস্তা। রয়েছে চেংগী রিভার ভিউ নামে একটি রেস্টুরেন্ট। এ রেস্টুরেন্টে অগ্রিম অর্ডার দিলে প্রছন্দ মতো খাবার খেতে পাবেন।
পরিকল্পনা ঃ পর্যটন স্পটটি আরো বেশী আকর্ষনীয় করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। চেংগী নদীর ওপাড়ে যাওয়ার জন্য তৈরী করা হবে ঝুলন্ত সেতু, নৌকায় করে চেংগী নদীকে উপভোগ করার জন্য দেওয়া হবে নৌকা। থাকবে কিডস জোন। সেখানে স্লাইডিং পুল, টয় ট্রেন ও নগর দোলার ব্যাবস্থা। পুকুরগুলোতে ঘুরার জন্য দেওয়া হবে রাবারের তৈরী নৌকা।
কিভাবে আসবেন- পানছড়িÑলোগাং সড়কে পানছড়ি বাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদর। অটো রিক্সায় ভাড়া মাত্র ১০টাকা। উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয় থেকে শতাধিক গজ দূরে এ ‘মায়া কানন’। মোটর বাইকে করে যা সহজের আসা যায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.