নদীতে জলদেবীর উদ্দেশ্য কলাপতায় ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু-সাংক্রানের প্রথম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফুল বিজু উদযাপিত হয়েছে।
পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসী সম্প্রদায় তিন দিন ব্যাপী এ উৎসবটি নানান নামে অভিহিত করলেও এর নিবেদন ও ধরন কিন্তু একই। বাংলা বর্ষের শেষ দুদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এই উৎসব পালন করে থাকেন আদিবাসীরা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত এগার ভাষাভাষি ১৫টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব হল বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু-সাংক্রান। তিন দিন ব্যাপী উৎসবের প্রথম দিন গতকাল বহস্পতিবার প্রথম দিন “ফুল বিজু”। গতকাল উৎসবের প্রথম দিনে ভোরের দিকে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু-সাংক্রান উদযাপন কমিটি রাঙামাটির উদ্যোগে রাজ বন বিহার পুর্ব ঘাট এলাকায় নদীতে ফুল ভাসানোর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা। অনুষ্ঠানে এমএন লারমা ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার, ইন্দ্র দত্ত তারূকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় আদিবাসী তরুন-তরুনীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে কলাপাতায় ফুল সাজিয়ে জলদেবে উদ্দেশ্য নদীতে ফুল ভাসায়।
অন্যদিকে,ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশন রাঙামাটির উদ্যোগে শহরের গর্জনতলী এলাকায় নদীতে ফূল ভাসানো,বয়স্কদের স্নান,আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এতে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা প্রমুখ।
আজ শুক্রবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন ‘মূল বিজু’। এ দিনে বাড়িতে বাড়িতে শুধূ চলে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব ও আন›ন্দ-পূর্তি। বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু খাবার দাবার আগত অতিথিদের পরিবেশন করা হয়। এ দিনে পাহাড়িরা হৈ-চৈ করে ঘুরে বেড়ানো আর খাওয়া-দাওয়া আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় করে দিয়ে থাকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.