হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ১১তম কাউন্সিল শুকব্রার সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে মিশুক চাকমা, সাধারন সম্পাদক মিনাকী চাকমা ও অবনিকা চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক দ্বিতীয়া চাকমার পাঠানো প্রেস বার্তায় বলা হয়,জেলা সদরের স্বনির্ভরস্থ ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি ভবনে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র সমাধান পূর্ণস্বায়ত্তশাসন মেনে নাও, সমাজ ও জাতি রক্ষার সংগ্রামে নারী সমাজ এগিয়ে আসুন” শ্লোগানে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মিশুক চাকমা। বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর জেলা ইউনিটের সংগঠক রিকো চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাদ্রী চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা শাখার আহ্বায়ক জিকো ত্রিপুরা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রতন স্মৃতি চাকমা। সভা পরিচালনা করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শিখা চাকমা। অধিবেশনের শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দীঘিনালা থানা শাখার অর্থ সম্পাদক জুঁই চাকমা। শোক প্রস্তাব পাঠ শেষে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
কাউন্সিল অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে মিশুক চাকমাকে সভাপতি, মিনাকী চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও অবনিকা চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় উপস্থিত সকলে করতালির মাধ্যমে ঘোষিত কমিটিকে স্বাগত জানান। নতুন কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাদ্রী চাকমা।
অধিবেশন শেষে নতুন কমিটির নেতৃত্বে ঠিকাদার সমিতি ভবনের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ার ঘুরে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
অধিবেশেনে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতন, ভূমি বেদখল, সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। গত বছর পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩৪ জন পাহাড়ি নারী ধর্ষণ, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নানিয়ারচরের বগাছড়িতে পাহাড়িদের ৩টি গ্রামে হামলা, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। একদিকে নারী নির্যাতন, অপরদিকে ভূমি বেদখলের মাধ্যমে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়িদের অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এর বিরুদ্ধে নারী সমাজসহ সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারকে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি মেনে নিতে হবে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.