জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্দুকের রাজনীতি যারা করছে তারা জনগনের কল্যাণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এতে করে জনগনের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। বন্দুকের রাজনীতির সাথে জড়িতরা শক্তি প্রয়োগ করে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগনকে বিভক্ত করে অশান্তির আগুন জ্বালাতে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
সোমবার বাঘাইছড়ি উপজেলার দূরছড়ি বাজারে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নব নির্মিত মার্কেট কাম কমিউনিটি সেন্টার ও ক্লাবের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দুরছড়ি বাজার মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খেদারমারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কান্তি ময় চাকমা। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তবে দেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হাজী মোঃ কামার উদ্দিন, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য বৃষকেতু চাকমা, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ও খেদারমারা ইউপি চেয়ারম্যান অমলেন্দু চাকমা, বাঘাইছড়ি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংবাদিক দীলিপ দাশ, আনোয়ার মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশের আগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার দূরছড়ি বাজারে নব নির্মিত মার্কেট কাম কমিউনিটি সেন্টার ও ক্লাবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার তার বক্তব্যে আরও বলেন, জনগনের কল্যাণে ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট। আজকে বন্দুক দিয়ে তারা জনগনকে পদদলিত করলেও, তাঁদের ভবিষৎ জনগনই নির্ধারন করবে। তাঁরা এখন পার্বত্য জনগনের শিক্ষার বিরুদ্ধে, মেডিকেলের বিরুদ্ধে, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগসহ সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগন শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে গেলে পাহাড়ে বন্দুকের রাজনীতি দূর্বল হয়ে পড়ে। রাজনীতির নামে তারা জুম্ম জনগনকে শোষণ করার জন্য এখানে সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিরুধিতা করে চলেছেন। তাই তাদের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো বন্দুক দিয়ে জনগনকে জিম্মি করে রাখা। কিন্তু সাধারণ মানুষের কল্যানেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। জনগনের সুখে দুঃখে আমরাই ছিলাম এবং থাকবই।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.