সোমবার বান্দরবানের লামা উপজেলায় বিএনপি’র উদ্যোগে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে।
উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লামা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমির হোসেন আমু। লামা পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দু বরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি রবিউল আলম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুদ্দিন, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সোহরাব হোসেন, যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রফিক, যুবনেতা বাহার উদ্দিন, আবু সুফিয়ান সহ প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর-রশীদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমির হোসেন আমু বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ থেকে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছিল। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি উচ্চাভিলাষী দল সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে বন্দি করে এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটালে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে নস্যাৎ হয়ে যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্র। আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। এদিন সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.