পাহাড়ী সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু,বিহু, সাংক্রাইন উপলক্ষে রাঙামাটির কাউখালীতে বনার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
ঘাগড়া কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাবেক মেম্বার শরৎ চন্দ্র চাকমার সভাপতিত্বে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জনসংহতি সমিতি কাউখালী শাখার সভাপতি সুবাষ চাকমা। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পিসিপি কাউখালী শাখার সভাপতি কাজল চাকমা, সাধারণ সম্পাদক চাইহলাপ্রু মারমা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ধারশ মনি চাকমা।
পরে শোভাযাত্রাটি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে ঘাগড়া বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূনরায় কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। বিকেলে আয়োজ করা হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিকে, এ উৎসবকে ঘিরে পার্বত্য জেলা এখন যেন উৎসবে মাতোয়ারা। অনুষ্ঠানকে সফল করতে পাড়ায় পাড়ায় চলছে ব্যাপক প্রচারণা। ব্যানার ফেষ্টুনে ছেয়ে গেছে প্রতিটি অলি গলি। নিত্য নতুন পোষাকে সজ্জিত শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণ পর্যন্ত। বিশেষ দিনে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে সংগ্রহের ভান্ডারে জামা করছে রকমারি তরিতরকারি।
চৈত্রের শেষ দিনকে মূল বিঝু হিসেবে পালন করা হয়। এটাই হচ্ছে মূল উৎসব। এই দিনে সবার ঘরে অন্তত পাঁচ পদের তরিতরকারী মিলিয়ে বিশেষ ধরণের “পাঁচন” রান্না করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পিঠা, তিলের নাড়ু বিন্নি ধানের খই ও মিষ্টি তৈরী করা হয়। এর পাশাপাশি অতিথিদের বিশেষ পানিয় পরিবেশন করা হয়। তাছাড়া যুবক-যুবতীরা এক সঙ্গে ঘিলা, পোত্তি (বউচি) প্রভৃতি খেলায় মেতে উঠে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.