শনিবার রাঙামাটির স্বেচ্ছাসেবী সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সংগঠন সূর নিকেতনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলানায়তনে মঙ্গঁল প্রদীপ জ্বালিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। সূর নিকেতনের উপদেষ্টা সুনীল কান্তি দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বর্নময় চক্রবর্তী, বিশিষ্ট কবি মৃত্তিকা চাকমা, রাঙামাটি বেতারের সঙ্গীত শিক্ষক রনেশ্বর বড়ুয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সুর নিকেতনের শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্র, নজরুল, উচ্চাঙ্গ, আধুনিক, চাকমা রবিন্দ্র সঙ্গীত’সহ বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত পরিবেশন করে। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া সঙ্গীতানুষ্ঠানটি রাত ৮টা পর্যন্ত চলে।
প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টীর সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসারে সুর নিকেতনের মতো রাঙামাটির সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই এ অঞ্চলের সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে।
তিনি, সুর নিকেতনের ৩৪বছরে সংস্কৃতি চর্চার প্রসংসা করে আরও বলেন,সুর নিকেতন রাঙামাটির সঙ্গীত শিল্পী সৃজনে যে ভুমিকা রেখেছে তা এ অঞ্চলের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
তিনি সুর নিকেতনের উদ্যোগে রবীন্দ্র নজরুল সঙ্গীতকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষায় রুপান্তর করে সিডি ক্যাসেট প্রকাশের যে পরিকল্পনা নিয়েছে তাতে তার সমর্থন জানিয়ে তিনি সিডি প্রকাশে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস এবং রাঙামাটিতে স্বল্প মেয়াদী সঙ্গীত উৎসবে সংস্কৃতি মন্ত্রী যাতে উপস্থিত থাকতে পারেন সেই উদযোগ গ্রহণের জন্য সংস্কৃতি কর্মীদের আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্গীতজ্ঞ স্বর্নময় চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের চলমান জঙ্গীময় সংকট গোলাগুলি বা বল প্রয়োগ করে দূর করা সম্ভব নয়। এই অপতৎপরতা প্রতিরোধে সংস্কৃতি ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। তিনি দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্যান্য বিষয়ের ন্যয় সঙ্গীত বিষয়টিকে যুক্ত করতে বর্তমান সরকারের প্রতি দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, এতে করে শিশুকাল থেকেই শিশুরা সংস্কৃতি মনা হয়ে উঠবে। আর দেশ প্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। তিনি তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে ৫ দিনব্যাপী সঙ্গীতানুষ্ঠান করার বিষয়ে সাবেক পার্বত্য মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.