জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে পার্বত্য এলাকার অবৈধ অস্ত্র। পার্বত্য এলাকার বাস্তবতা এখন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। বর্তমানে এখানে অবৈধ অস্ত্রের কাছে মানুষ জিম্মি।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসা বানিজ্য, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড,মানুষের সার্বিক চলাফেরা ও স্বাধীনভাবে কথা বলা,কৃষকের কৃষিপন্য উৎপাদন-বিপননসহ সকল কর্মকান্ডে আজ অবৈধ্য অস্ত্রের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করছে একটি চিহ্নিত বিশেষ গোষ্ঠী। এখানে রাজনীতির আড়ালে অবৈধ চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্রের আধিপত্য নিয়ে প্রতিনিয়িত রক্ত ঝরছে। একদল আরেক দলের উপর অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে হত্যা করছে। আমরা এ পার্বত্য এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র অবিলম্বে উদ্ধার চাই। আর কোন ভাইয়ের লাশ চায় না।
মঙ্গলবার আওযামীলীগ রাঙামাটি পৌর শাখা ও ১-৯নং ওয়ার্ড শাখার বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পৌর ও ওয়ার্ড শাখার আয়োজনে কুমার সমিত রায় জিমনেসিয়ামে বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি হাজী সোলাইমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মুছা মাতবর, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবর রহমান, জেলা আওয়ামীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, অংস প্রু চৌধুরী, এডভোকেট পরিতোষ দত্ত, জেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মতিন, যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, সাবেক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধন মনি চাকমা, পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দীন তালুকদার, মাহাফুজুর রহমান মাহাফুজ, মহিলালীগের নেত্রী জেবুনেচ্ছা জেবু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনসুর আলী। এসময় জেলা ও পৌর এবং ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ধিত সভায় রাঙামাটি পৌর কমিটি ও ৯টি ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে পৌর আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে পৌর সভাপতি সোলাইমান চৌধুরীকে আসন্ন পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার জন্য লিখিত আবেদন ও প্রত্যক ওয়ার্ড থেকে সভায় উপস্থিত বক্তব্যে জোর দাবী জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, সারাদেশের মত এ পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনী ,বিজিবি ,র্যাব ,পুলিশ আনসার বাহিনীর কৃতিত্বপূর্ন অনেক অবদান রয়েছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অনেক সফলতাও রয়েছে। তবে সারাদেশের মত করে পার্বত্য এলাকার অবৈধ অস্ত্রের বাস্তবতা বিবেচনা করলে চলবে না, পার্বত্য এলাকার আজকের অস্বস্তিকর অবস্থার অবসান ঘটাতে, পার্বত্য শান্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে ও পার্বত্যবাসী ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হলে আগে পাহাড় থেকে বিশেষ বিবেচনায় এ অবৈধ অস্ত্রের অস্তিত্ব বিলীন করতে হবে। তিনি পার্বত্য এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহনের সরকার ও আইন শৃঙখলাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আসন্ন পৌর নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই আলোকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলীয় প্রতীক নিয়ে দলীয়ভাবে এ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে। এ পযর্ন্ত ৪জন দলীয় প্রার্থীতা প্রত্যাশী, সাবেক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মতিন, জেলা যুবলীগ সভাপতি আকবর হোসেন,পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি হাজী সোলাইমান চোধূরী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন। তারা প্রত্যকে পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ নিজভাবে কাজ করছেন মাঠে। তাদের প্রত্যেকের যোগ্যতা রয়েছে। তবে একজনকে মনোনীত করতে হবে।
তিনি বলেন,তৃণমূল থেকে যে সব মতামত এসেছে তা বিবেচনায় নিয়ে ও জেলা নেতৃবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় নির্দেশনার নিরিকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তাকে প্রত্যেককে একজোট হয়ে তার বিজয় লাভের জন্য কাজ করতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.