ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত পর্যটন শহর রাঙামাটি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বিরাজ করায় এবার ঈদের ছূটিতে পর্যটকদের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছর ভাল আয় করতে পারবেন।
এদিকে, বর্ষায় রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নতুন রুপে সেজেসে। প্রাকৃতিক ঝর্ণা তার পুরনো রুপ ফিরে পেয়েছে। তাই সব মিলিয়ে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা প্রাণ ভরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসু পর্যটকরা ইটপাথুরের শহর ও যান্ত্রিকতার ক্লান্তি দূর করতে প্রতি বছর প্রকৃতির রাণী রাঙামাটির অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদের ছুটিতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক বিরাজ করায় রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙামাটি শহরের হোটেল-মোটেল ও গেষ্ট হাউসগুলোর রুম প্রায়ই অগ্রিম বকুড হয়েছে। রাঙামাটি সরকারী পর্যটন মোটেলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে মোটেলর সমস্ত রুম অগ্রিম রুম বুকড হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক রুম বুকড দিতে চাইছেন, কিন্তু রুম না থাকায় অগ্রিম বুকড নিতে পারছেন না। ইতোমধ্যে পর্যটকদেও বরণ কওে নিতে ৮কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ব্যয়ে নির্মিত ও মনোরম পরিবেশে রাঙামাটিতে তিন তারকা মানের আধুনিকমানের নতুন পর্যটন মোটেলের ধোয়ামুছাসহ পর্যটন ঝুলন্ত ব্রীজের পর্যটকদের চলাচলের জন্য রাস্তার মেরামত ও রংকরণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু পর্যটকদেও অপেক্ষার পালা।
এদিকে, বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নতুন রুপে সেজেসে। কাপ্তাই হ্রদের পানি ভরপুর হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক ঝর্ণা শুভলং ঝর্না তার পুরনো রুপ ফিরে পেয়েছে। প্রতিদিন স্থানীয় লোকজন শুভলং ঝর্নার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন। তাই সবমিলিয়ে পর্যটকরা এবার রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অপন মনে উপভোগ করতে পারবেন।
হোটেল সুপিয়া সিইও সাইফুল ইসলাম(মুন্না) জানান, এবারের ঈদ ছুটিতে মোটামোটি বুকিং হয়েছে। তবে রুম বুকিং খুব একটা আশানুরুপ নয়।
রাঙামাটি হোটেল ও মোটেল মালিক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক ও হোটেল প্রিন্স-এর সত্বাধিকারী নেসার আহম্মেদ জানান, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বিরাজ করায় অন্যান্য বছরের তুলানায় এ বছর রাঙামাটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটবে আশা করছি। ইতোমধ্যে তার হোটেলের শতকরা ৭৫ ভাগ রুম অগ্রিম বুকড হয়েছে। এছাড়া শহরের অন্যান্য হোটেলে ও মোটেলের প্রায়ই রুম বুকড হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্য নতুন রুপে সেজেসে। আশাকরি এ বর্ষা মৌসুমে পর্যটকরা ঈদের ছুটি আনন্দঘন পরিবেশে উপভোগ করতে পারবেন।
রাঙামাটি সরকারী পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, ৮কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ব্যয়ে নির্মিত ও মনোরম পরিবেশে তিন তারকা মানের আধুনিকমানের নতুন রাঙামাটির পর্যটন মোটেলের সব রুম ১৯ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্ষন্ত অগ্রিম বুকড হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে ঈদের ছুটিতে পর্যটন ঝুলন্ত ব্রীজসহ পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ঢল নামবে। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের রাঙামাটিতে ব্যাপক হারে সমাগম ঘটবে তার জন্য বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পুলিশী টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের নিবিঘ্নে গমনাগমনে ট্রাফিক ব্যবস্থা সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য ট্রাপিক পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড বা আসামাজিক কর্যক্রম যেন সংগঠিত হতে না পারে এবং পর্যটকরা পর্যটন স্থান গুলোতে নিবিঘ্নে চলাচল ও গমনাগমন করতে পারেন সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রাঙামাটি শহরের পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে রাঙামাটি সরকারী পর্যটনের ঝুলন্ত সেতু, শুভলং-এর মনোমুগ্ধকর ঝর্ণা, রাজ বন বিহার,জেলা প্রশাসনের বাংলো, বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি সৌধ, বালুখালী কৃষি খামার, টুক টুক ইকোভিলেজ,সাংপাং রেস্টুরেন্ট এবং আদিবাসী শান্ত সবুজ গ্রাম ও তাদের জীবনযাত্রা। এছাড়াও রাঙামাটি শহরের বাইরে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের মনোরম পর্যটন স্পট, কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে উঠা আকর্যনীয় পর্যটন স্পট, কাপ্তাই জল বিদ্যূৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কর্ণফূলী পেপার মিলস্ ও কাপ্তাই জাতীয় উদ্যোন ইত্যাদি।
সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পটগুলোর কোথায় ও কিভাবে যাবেন
বরকলের ফালিতাংগ্যা চুগঃ এটি রাঙামাটির বরকল উপজেলায় অবস্থিত। এটির উচ্চতা এক হাজার ৮শ ৬৮ ফুট। এ ফালিতাংগ্যাচূগ পাহাড়ের চূড়া থেকে বরকলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগসহ ভারতের মিজোরাম প্রদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যর দৃষ্টিগোচর হবে। এছাড়া বরকল উপজেলা সদরে রয়েছে ছোট বড় অনেক ঝর্না। যা পর্যটকদের সহজেই আকৃষ্ট করে তোলে। এ বরকলের নামের পিছনে জনশ্রুতিতে রয়েছে কর্ণফলী নদীর এ স্থানে একটি খুবই বড় প্রবাহমান ঝর্না ছিল। পানির শব্দ অনেকদূর থেকে শোনা যেত। আর এ পানি পড়ার শব্দ শুনে মনে হত যেন কোন যন্দ্র বা কলের শব্দ হচ্ছে। যার ফলে এ স্থানে বসবাসকারী পাহাড়ী লোকজন এই স্থানের নাম দেয় বরকল। তবে এ ঝর্না এখন আর নেই। বরকল যেতে হলে আপনাকে রাতে থাকার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। রাঙামাটি শহর থেকে ইঞ্জিনচালিত বোট ভাড়া পাওয়া যায়।
ফুরো মোন পাহাড়: এটি রাঙামাটি শহরে অনতি দুরে অবস্থিত। এ ফুরামোন পাহাড়ের ছুড়ায় উঠে রাঙ্গামাটি শহরের অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। এটির উচ্চতা এক হাজার পাঁচশত ১৮ ফুট। এ ফুরামোন পাহাড় যেতে হলে আপনাকে শহরের মানিকছড়ির সাপছড়ি হয়ে যেতে হবে। এখানে রাজ বন বিহারের ফুরামোনা শাখা নামের বৌদ্ধদের একটি মন্দিরও রয়েছে। এ ফুরামোনে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে সিএনজি ভাড়া করে সাপছড়ি পর্ষন্ত গিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে হবে। এ জন্য আপনাকে পাহাড় উঠার অভ্যাস থাকতে হবে। আবার ফুরামোনের পাদদেশে হয়ে একটি রাস্তাও করা হয়েছে। ইচ্ছে করলে সিএনজিতে করে কিছু দূর যেতে পারেন। তবে বলে রাখা ভালো এ ফুরামোনে যাওয়ার আগে নিরাপত্তা ব্যাপার নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ এলাকাটি খুবই নির্জন।
বালুখালী কৃষি খামারঃ রাঙামাটি শহরের অনতি দূরে এ বালুখালী কৃষি খামারের অবস্থান। এ কৃষি খামারের বিশাল এলাকা জুড়ে যে উদ্যান রয়েছে তার সৌন্দর্য্যও পর্যটকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। এখানে প্রায় সময় দল বেধে লোকজন পিকনিক করতে আসেন। এ খামারে রয়েছে ফল ও ফুলসহ অসংখ্য প্রজাতির গাছগাছালি। সব মিলিয়ে এ খামারটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষনীয় স্থান হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। এখানে যেতে হলে আপনাকে রাঙামাটি শহর থেকে কান্ট্রি বোট ভাড়া করে যেতে হবে। বোট ভাড়া পড়বে পাঁচ থেকে আটশত টাকা।
মুন্সী আব্দর রউফ স্মতি সৌধঃ একটি রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকায় অবস্থিত। ১৯৭১সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে বীর শ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়ক মুন্সি আব্দুর রউফ শহীদ হন। পরবর্তীতে রাঙ্গামাটির বিডিআর সেক্টরের উদ্যোগে কাপ্তাই হ্রদের চারদিকে স্বচ্ছ জলরাশি ঘেরা ছোট একটি দ্বীপের উপর এ স্মুতি সৌধ নিমার্ন করে। এটি এখন পার্যটকদের জন্য একটি আকর্ষনীয় স্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ স্পটে যেতে হলে আপনাকে কান্ট্রি বোটে করে যেতে হবে। তাছাড়া আপনি যাওয়ার পথে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশি ঢেউখেলানো অনুভূতি উপভোগ করা যাবে।
মোন ঘর শিশু সদনঃ রাঙামাটি শহর থেকে পাচঁ কিলোমিটার দুরত্বে রাঙ্গাপানি এলাকায় চার একর পাহাড়ের উপর ও প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে ঘেরা এ মোন ঘর শিশু সদনের অবস্থান। এটি প্রতিষ্ঠানটি আবার পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি নিকেতন হিসেবে এখানকার লোকজনের কাছে পরিটিত। ১৯৭৪ সালের দিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা প্রসারে ও অসহায় দরিদ্র অনাথ ছেলে-মেয়েদের আশ্রয় দিয়ে পড়াশুনার জন্য মোন ঘর শিশু সদন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। “মোনঘর” শব্দের অর্থ হল পাহাড়ে জুম চাষের জন্য চাষীদের থাকার অস্থায়ী আশ্রয়স্থল। যতদিন পর্ষন্ত চাষীরা জুমের ধানের বীজ থেকে অন্যান্য ফলন মোনঘরে তূলতে না পারে ততক্ষন পর্ষন্ত এই আশ্রয়স্থলে থেকে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া। ঠিক তেমনি করে তৃণমূল পর্যায়ের অনাথ, অসহায়, ছিন্নমূল, অনাদরে অবহেলায় বেড়ে উঠা ছেলে-মেয়েদেরকে আশ্রয় দিয়ে তাদেরকে শিক্ষায়-দীক্ষায়, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, আচারে-ব্যবহারে, চিন্তায়-চেতনায় গড়ে তুলে থাকে। এ মোনঘর শিশু সদনে চারিদিকে গাছগাছালি ঘেরায় বাস ভবন ও বৌদ্ধ মন্দিরসহ অনেক কিছুই দেখার রয়েছে। তবে মোন ঘর শিশুসদনের ভেতরে প্রবেশ করতে হলে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। শহর থেকে সিএনজি ভাড়া করে এ মনোঘর শিশু সদন পরিদর্শন করা যাবে। এছাড়া মোনঘর এলাকা থেকে দূরে হেচারী ঘাট এলাকায় সবুজ বৃক্ষরাশি ঘেরায় পুলিশ লাইনের সুখী নীল গঞ্জ ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্বাবধানে পরিচালিত মিনি চিড়িয়াখানাসহ প্রাকৃতিক অপূর্ব সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যাবে। এসব স্থানগুলো সবাইয়ের জন্য উন্মুক্ত।
অন্যদিকে রাঙামাটি জেলায় সম্ভাবনাময় অসংখ্য পর্যটন স্পট রয়েছে। যেগুলো অনেক দূর্গম এলাকায় অবস্থিত। সেগুলোর মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলার পাবখালীর অভয়ারণ্য, সাজেক ভ্যালী, বিলাইছড়ি উপজেলার রাইনক্ষ্যং হ্রদ বা বগা লেক, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের ঘাগড়ার হাজাছড়ি এলাকায় অপূর্ব প্রাকৃতিক ঝর্না ও মগবানের বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর এলাকার মনোরম পিকনিট স্পট, কাপ্তাইয়ের জাতীয় উদ্যান, সীতা পাহাড়-রাম পাহাড়সহ ইত্যাদি অপূর্ব প্রাকৃিতক মনোমুগ্ধকর দর্শনীয় পর্যটন স্পট।
ইঞ্জিন বোট ভাড়া কোথায় পাওয়া যাবেঃ ইঞ্জিন চালিত ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা কান্ট্রি বোট ভাড়া রাঙাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি বাজারস্থ বোট ঘাটে, রির্জাভ বাজার, বনরুপায় এলাকায় পাওয়া যাবে। তবে বলে রাখা ভালো এ বোটের চালকরা নতুন লোক দেখলে বেশী ভাড়া চাইতে পারে। তাই দরদাম করে নিয়ে ভাড়া করাই ভালো। সারাদিনের জন্য বোট ভাড়া করলে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা আর যদি ২/৩ ঘন্টার জন্য ভাড়া করতে চান তাহলে আটশ থেকে এক হাজার টাকা দিতে হবে।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে বিমানে বা ট্রেনে যোগে অথবা বাসে করে গেলে আপনাকে চট্টগ্রাম শহরে অবশ্যই নামতে হবে। চট্টগ্রামে পৌঁছে অক্সিজেনের বাস স্টান্ডে গেলে সেখান থেকে প্রতি ২৫ মিনিট পর পর বিরতীহীন (পাহাড়ীকা) বাস পাওয়া যাবে। ভাড়া পড়বে ১শ৪০ টাকা। এছাড়া আপনি সরাসরি ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে বাস যোগে আসতে চান। তাতেও পাবেন। ঢাকার কমলাপুর স্টেশন, কলা বাগান, গাবতলী, টি টি পাড়া ফকিরাপুল কাউন্টার থেকে পাবেন ডলফিন, ইউনিক,শ্যামলী চেয়ার কোচের টিকেট। টিকেটের দাম পড়বে ৬শ৫০টাকা। এছাড়া সরাসরি শ্যামলী পরিবহনের এসি চেয়ার কোচ পাবেন কলা বাগান, মতিঝিল ও কল্যাণপুর থেকে এবং কমলাপুর বিআরটিসি কাউন্ডার থেকে পাবেন বিআরটিসির নন-এসির টিকেট। ঢাকা থেকে রাঙামাটি পৌঁছতে সময় লাগে ৭/৮ ঘন্টা আর চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে আসতে সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.