রাঙামাটিতে দেশের একমাত্র সরকারী শুকর উন্নয়ন খামারে অজ্ঞাত রোগে শুকর মারা যাচ্ছে। গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৭০টি শুকর মারা গেছে। তবে কি রোগে শুকরগুলো মারা যাচ্ছে তা এখনো ষ্পষ্ট নয় কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাঙামাটি শহরের সাপছড়ি এলাকায় ৫ একর জমির উপর রয়েছে দেশের একমাত্র সরকারী শুকর উন্নয়ন খামারটি। এ খামার থেকে শুকরের মাংসের মাধ্যমে প্রাণীজ আমিজ ঘাটিত পূরণ, আতœকর্ম সংস্থান সৃষ্টি ও বিদেশী শুকর প্রজননের মাধ্যমে সরকারী নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে এ খামারে ১৪টি বিদেশী প্রজাতির প্রায় চার শতাধিক শুকর রয়েছে। কিন্তু গেল ১৩ নভেম্বর থেকে গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে ৭০টি শুকর মারা গেছে। আরো আক্রান্ত রয়েছে শতাধিক শুকর। তবে কি রোগে শুকরগুলো মারা যাচ্ছে তা চিহিৃত করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্যে বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া রোগের কারণ জানতে মৃত শুকর গুলো পোস্ট মটেম করে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, খামারে থাকা বাদবাকী শুকরগুলো বাচাঁনোর লক্ষে পশু চিকিৎসকরা রোগে আক্রান্ত শুকরগুলো ট্রানকুলার গান দিয়ে দুর থেকে ইনজেকশন পুশ করে যাচ্ছেন। তারপরও শুকরগুলো বাচাঁনো যাচ্ছে না।
খামারে থাকা কর্মচারীরা জানান, হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ যাবৎ শুকরগুলো মারা যাচ্ছে। এর আগে এ ধরনের রোগ দেখা যায়নি।
শুকর উন্নয়ন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডা. লেলিন দে বলেন, কি রোগে শুকরগুলো মারা যাচ্ছে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। তবে ধারনা করা হচ্ছে অফ্রিকার সোয়াইন ফিভারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। পোস্ট মটেমের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো রিপোর্ট আসলে রোগের সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে এখনো রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. তুষার কান্তি চাকমা বলেন, পোস্ট মটেম করার পরে পুরো একটা শুকর চিটাগাং ভেটোনারি ইউনিভার্সিটি ও ঢাকায় অধিকতর পরীক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়েছে। তাদের দেওয়া পরামর্শে চিকিৎসা চলছে। তবে আশা রাখছি ঢাকাতে যে নমুনা পাঠানো হয়েছে তার যদি রিপোর্ট আছে তাহলে সে অনুযায়ী শুকরগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.