গেল তিন দিনে টানা বর্ষণের কারণে রাঙামাটিতে জনজীবন বিপর্ষস্ত হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জানমালের নিরাপত্তা স্বার্থে আজ শনিবার ভোর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্তর কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের স্বাক্ষরিত জরুরী সর্তকীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাঙামাটি জেলায় চলমান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জানমালের নিরাপত্তা স্বার্থে শনিবার ভোর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্তর কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জরুরি সরকারি কাজে নিয়োজিত নৌযানসমুহ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়া এ সংক্রান্ত যে কোন জরুরী প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের ০১৮২০৩০৮৮৬৯/০২৩৩৩৩৭১৬২৩ এ নম্বরের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক।
অপরদিকে,টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় সর্তকতা হিসেবে পাহাড়ের পাদদেশে বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় বসবাসকারী লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। তবে জেলা প্রশাসনের এ নির্দেশনা মানছেন না ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীরা। তারা আশ্রয় কেন্দ্রে অনীহা প্রকাশ করছেন।
এদিকে,রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে পাহাড় ধসে গিয়ে যে কোন মহুর্তে যানবাহণ চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অতি বৃষ্টিতে শনিবার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের শালবন এলাকা, সাপছড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসে পড়লেও সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকভাবে চলছে এখনো।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঝুকিপুর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সচেতনামুলক মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ঝুকিপুর্ন স্থানে গিয়ে বসবাসকারীদের কাছে গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে শনিবার বিকালে আরো অতি বৃষ্টি বাড়ায় শনিবার বিকালে অত্যাধিক ঝুকিপুর্ন রুপনগর, শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দির এলাকায় বসবাসকারী লোকজনদের জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ ফোর্স বাধ্য হয়ে জোরপুর্বক নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.