জনসংহতি সমিতি ও সহযোগী কতিপয় সংগঠন মনগড়া, কাল্পনিক ও বিভ্রান্তিকর বিষয় অবতারণা করে যে সাজানো বিবৃতি দিয়েছে, তা হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের ক্রোধ ও ঘৃণা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে বলে পাল্টা বিবৃতিতে দিয়েছে।
শনিবার হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এন্টি চাকমার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিত এ কথা জানানো হয়েছে।
জেএসএস কর্তৃক ‘বক্তব্য প্রত্যাহারের’ দাবি নাকচ করে দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০ জুলাই আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ের সম্মুখে উত্থাপিত প্রশ্ন-বক্তব্য’ পার্বত্যবাসীর মনের কথার প্রতিধ্বনি, তাতে কোথাও কোন অসত্য ভাষণ ছিল না। গণতান্ত্রিক পন্থায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ জানানোর সভ্য দুনিয়ার রীতি মেনে তা করা হয়েছে। তাকে “আক্রমণাত্মক, বিদ্বেষমূলক, উস্কানিমূলক, মানহানিকর ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত” ইত্যাদি আখ্যায়িত করলে তাতে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ কর্তৃক উত্থাপিত প্রশ্ন মিথ্যা হয়ে যায় না। বরং বাগাড়ম্বর করে প্রকৃত সত্য আড়ালের ব্যর্থ অপচেষ্টার ফলে সন্তু লারমা ও তার অনুগত সংগঠনসমূহকে জনগণের কাছে আরও বেশি হেয়প্রতিপন্ন হতে হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে ভীত সন্ত্রস্ত জনসংহতি সমিতি ও তার অঙ্গ সংগঠনসমূহ যেভাবে সরকারের নিকট সন্তু লারমার “নিরাপত্তা জোরদারের” দাবি জানাচ্ছে, তাতে সন্তু লারমা কতটা গণবিচ্ছিন্ন তাই উন্মোচিত হয়েছে।
সন্তু লারমার দিকে ইঙ্গিত করে দুই নারী সংগঠন বিবৃতিতে দাবি করে বলা হয়, অনেক ঘটনার যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ‘মানহানিকর অসম্মানজনক’ কোন বক্তব্য মানববন্ধনে দেয়া হয়নি এবং সকল কথাবার্তা রাজনৈতিক বিষয়ের গণ্ডীতে সীমাবদ্ধ ছিল। জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত না হলে, দুই নারী সংগঠন অন্যান্য বিষয়েও মুখ খুলতে বাধ্য হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে সন্তু লারমাকে ‘২০ জুলাই উত্থাপিত প্রশ্নের’ জবাব দিয়ে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ। অন্যথায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে।
--প্রেস বিজ্ঞপ্তি।