রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগে পুনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি ও সাধারন সম্পাদক পদে হাজী মছা মাতব্বর। মঙ্গলবার জেলা আওয়ামীলীগের সন্মেলনে মাধ্যমে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় দীপংকর তালুকদার ও ভোটাভোটির মাধ্যমে সাধারন সম্পাদক পদে হাজী মূছা মাতব্বর নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর পর মঙ্গলবার সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দীর্ঘ ২৬ বছেের অধিক সময় ধরে সভাপতি পদে থাকা দাদা বলে খ্যাত দীপংকর তালুকদার এমপি এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা ভোটাভোটি না হয়ে শেষ পর্ষন্ত সমঝোতা হয়। এর আগে সার্কিট হাউসে ও পরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মিলনায়তনে ২৪৬ জন কাউন্সিলর ও প্রতিদ্বন্ধিকারীদের নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। পরে প্রতিদ্বন্ধিকারী নিখিল কুমার চাকমা ভোটাভোটিতে না গিয়ে দীপংকর তালুকদারকে আগামী তিন বছরের জন্য পদটি ছেড়ে দেন। তবে সাধারন সম্পাদক পদে লড়েন বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর এবং সাবেক সাধারন সম্পাদক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ কামাল উদ্দীনের ভোটাভোটি হয়। এতে হাজী মুছা মাতব্বর ৩৬ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। এতে মূছা মাতব্বর মোট ভোট পান ১৩৮ ভোট এবং হাজী কামাল উদ্দীন পান ১০২ ভোট। এর মধ্যে একটি ভোট অস্পষ্টতার কারণে নষ্ট হয়েছে। এতে মোট পড়েছে ১৪১ ভোট। এ সন্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উৎসাহ-উদ্দীপনায় যোগদান করতে দেখা গেছে। সন্মেলনে জেলার দশ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগদান করেছেন।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী নিখিল কুমার চাকমা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃৃবন্দের নিদের্শনা আলোকে আমি সভাপতির পদ থেকে সরে দাড়িয়েছি এবং দীপংকর তালুকদারকে সমর্থন জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।
সাধারন সম্পাদক পদে বিজয়ী হাজী মুছা মাতব্বর সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার দলের কাউন্সিলর,সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞা। আমি সবাইয়ের কাছে ঋণী। তারা আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। সবাইকে সাথে নিয়ে দীপংকর তালুরকদারের নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.