‘সাম্প্রদায়িকতা-প্রতিহিংসা-অন্ধতার কালিমা ধুয়ে মুছে যাক মৈত্রি পানি বর্ষণে’ এ শ্লোগানে সোমবার বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে আদিবাসীদের ৫দিন ব্যাপি সাংগ্রাইং-বৈসাবি বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়েছে বান্দরবানে। পূরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণের মারমা ভাষায় সাংগ্রাই, ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, ও চাকমা-তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বিঝু’কে একসাথে বলা হয় বৈসাবি উৎসব।
মারমা আদিবাসীদের ১৩৭৬ সাকক্রয় (সাল)-কে বিদায় দিয়ে ১৩৭৭ সাকক্রয় কে স্বাগত জানানোই এ সাংগ্রাই-বৈসাবি উৎসব। এবারে উৎসবের প্রতিপাদ্য বিষয় হল “সংস্কৃতির শেখড়েই বৈচিত্রময় ঐতিহ্যের ঐক্য”।
বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিটের আয়োজনে সোমবার সকালে বান্দরবান পূরাতন রাজার মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় একই স্থানে। র্যালিতে অংশ নেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য ও বান্দরবান সদর জোন কমান্ডার নাজমুল হকসহ ১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠির ব্যানারে নিজ-নিজ পোষাক পরিহিত কয়েকশ’ আদিবাসী তরুণ-তরুণী এবং বিভিন্ন বয়সী মানুষ। র্যালি শেষে বয়স্ক পূজা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এদিকে রোববার বিকালে সদর উপজেলার সিনিয়র পাড়ায় তংচঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিষু উৎসব উপলক্ষে তংচঙ্গ্যা ভাষার বর্ণমালা বই মোড়ক উন্মোচন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। এসময় পুরাতন রাজবাড়ি মাঠে বয়স্ক মহিলা ও পুরুষদের পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.