রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের মিতিয়াছড়ির দুর্গম নোয়াপাড়া এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে মারমা ন্যাশনালিস্ট পার্টির (এমএনপি) দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলে অংথোয়াই চিং মারমা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও রাতেই চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তিন ছড়ির দূর্গম নোয়াপাড়ায় এলাকায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও মারমা ন্যাশনালিষ্ট পার্টি(এমএনপি) এর মধ্যে দফায় দফায় গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে অংথোয়াই চিং মারমা নামে একজন নিহত হন। পরে ঘটনার খবর পেয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার সকালের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথায় গুলির চিহৃ রয়েছে। নিহত অংথোয়াই চিং মারমা রাইখালি ইউনিয়নের গবাছড়া এলাকার মংসাথোই মারমার ছেলে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কর্মী বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সেখানে আইন-শৃংখলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী সত্যতাতা স্বীকার করে বলেন,দুই গ্রæপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে অংথোয়াই চিং মারমার নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর