পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগ্রাইং, বৈসুক বিষু- উপলক্ষে শুক্রবার রাঙামাটিতে বনার্ঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উষাতন তালুকদার এমপি বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের সরকারকে সময় সূচি ভিত্তি কর্ম পরিকল্পনা ঘোষনার জন্য বার বার আহ্বানের পরও কোন উদ্যোগ এখনো দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়নে সময় সূচি ভিত্তিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহনের জন্য সরকার এগিয়ে না আসলে উৎসবের পর পাহাড়ের পরিস্থিতি কোন দিকে ধাবিত হবে এখনাকার মানুষ জানে না, সেটা সরকার জানবে।
রাঙামাটি পৌর চত্বরে উদযাপন কমিটির উদ্যোগে শোভাযাত্রার উদ্ধোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড.মানিক লাল দেওয়ান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সংসদীয় আসনের সাংসদ উষাতন তালুকদার। উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জগৎজ্যোতি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য মাধবীলতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদি ও স্থানীয় বাঙালী কল্যাণ পরিষদের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আলম, পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি বিজয় রতন দে। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন মানবন্দ্রে নারায়ন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা। অনুষ্ঠানে বেলুন উড়িয়ে র্যালীর উদ্ধোধন করেন ড. মানিক লাল দেওয়ান। এর পর উদ্ধোধনী নৃত্য পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠান শেষে রাঙামাটি পৌর সভা চত্বর থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বর পর্ষন্ত বনার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় দাবী-দাওয়া সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনসহকারে কয়েক হাজার আদিবাসী নর-নারী অংশ নেয়।
উষাতন তালুকদার আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ের আদিবাসী জনগণ আনন্দঘন পরিবেশে সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগ্রাইং, বৈসুক বিষু পালন করতে পারতো। কিন্তু দুঃখজনকভাবে পাহাড়ী জনগণ নিরানন্দের মধ্য দিয়ে এ উৎসবটি পালন করতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ এপ্রিল থেকে তিন দিন ব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগ্রাইং, বৈসুক বিষু-এর উৎসব শুরু হচ্ছে। আদিবাসীরা সাধারনত বাংলা বর্ষের শেষ দুদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিনে এ উৎসব পালন করে থাকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.