রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইফতেকুর রহমান বলেন,পার্বত্য চুক্তি বাস্তায়নে বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে সকলেই যদি উদারমনোভাব নিয়ে এবং সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসলে শান্তি চুক্তি সুন্দর ও সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।
তিনি আরো বলেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল সাধার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এখনো পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া, হত্যা, অপহরণ, অ-বৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। অবৈধ অস্ত্রধারী স্বার্থান্বেষী এমন মহলকে সেনাবাহিনী কোন অবস্থায় আধিপত্য বিস্তার করতে দেবে না। লক্ষ শহীদের বিনীময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, সর্বভৌমত্ব এবং দেশের অখন্ডতা রক্ষায় সেনা বাহিনী বদ্ধ পরিকর।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি ২৩ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটির জুরাছড়ি সেনা জোনের উদ্যোগে সোমবার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এ সময় জুরাছড়ি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ তানভীর হোসেন, নবাগত জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান ফয়সাল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, জুরাছড়ি জোন উপ অধিনায়ক মেজর নাজমুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমা, থানা অফিসার ইনচার্জ শফিউল আজম, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রহিনী কুমার চাকমা, দুমদুম্যা ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জুরাছড়ি জোন রনতুর্য সাত এর আয়োজনে প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে সম্প্রতির নৌকাবাইচ উদ্বোধন করেন।
পরে কাপ্তাই হ্রদের কাংরাছড়ি ব্রীজ থেকে জোনের হেলিপ্যাট ঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঢেউয়ের মধ্যে মাঝিদের সাজ আর বাদ্যের ঝংকার এবং দর্শকের করতালিতে মূখরিত হয়ে উঠে হ্রদের তীর। গতিময় নৌকার অনবরত বৈঠা চালানো দেখে মুগ্ধ শত শত মানুষ। প্রতিযোগীতায় নারী ও পুরুষ ১৫ টি দল অংশগ্রহন করেন।
প্রতিযোগীতায় নারী মল্লিকা চাকমার দল প্রথম, দ্বিতীয় বিশাখা চাকমার দল, সুমিতা চাকমার দল তৃতীয় স্থান লাভ করে। একই ভাবে পুরুল প্রথম স্থান পহেল চাকমার দল, দ্বীতীয় শান্তি ময় চাকমার দল, তৃতীয় স্থান লাভ করেন বিশাল চাকমার দল।
প্রতিযোগিতা শেষে জুরাছড়ি জোন রনতুর্য সাত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.ইফতেকুর রহমান বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার হিসেবে প্রাইজবন্ড তুলে দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.