পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে রোববার (৬ ডিসেম্বর) এক এডভোকেসি সভা ও প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়েছে।
এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘করোনাকালে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহণ করি’। প্রেস ব্রিফিং বলা হয়, কোভিড-১৯ এর জন্য পুরো পৃথিবী বিপর্যস্ত। দেশে দেশে লকডাউন পরিস্থিতিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ‘নারী ও কিশোরীদের যৌন প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা’ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। জনস্ হপকিন্স ইউনির্ভাসিটি’র এক গবেষণায় বলা হয়েছে- করোনার কারনে বাংলাদেশে যদি আগামী এক দশকে (২০২০ থেকে ২০৩০) প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি ও দক্ষ সেবাদানকারী দ্বারা প্রসব সেবা ২০% হ্রাস পায় তাহলে প্রসূতি মৃত্যুহার প্রতি লাখে ১৬৫ থেকে ১৯২ তে উত্তীর্ণ হবে। আর যদি ৫০% হ্রাস পায় তাহলে এই হার ২১৫ হবে। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসতে হবে, প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে হবে ও অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করতে হবে।
এডভোকেসী সভায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি খাগড়াছড়িতে করোনা রোগী বৃদ্ধির বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, খাগড়াছড়ি এখন পর্যটন শহর। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খাগড়াছড়িতে আসছে। এদিকে পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ইতিমধ্যে পর্যটন স্পট, হোটেল-রেঁস্তোরা থেকে খাগড়াছড়িতে করোনা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে অনেকে আশংঙ্খা করছেন।
আলোচকরা পর্যটন স্পট, হোটেল রেঁস্তোরা, যানবাহনে স্বাস্থ্য বিধি মানতে ও মাস্ক পরিধানে বাধ্য করতে আরো কার্যকর তৎপরতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলায় ৭৬০ জন করোনা ভাইরাসের রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৬ জন।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক নিটোল মনি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. জয়া চাকমা, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোহাগ ময় চাকমা, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম প্রমুখ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.