শুক্রবার যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্য ও ধর্মীয় মর্যাদায় রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের মরিশ্চ্যাবিল বন বিহারে ৮তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্টিত হয়েছে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বুদ্ধমুর্তিদান, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, পিন্ড-পানীয় দান, হাজার প্রদীপ দান, কল্পতরু দান ও চীবর দান করা হয়।
মরিশ্চ্যাবিল বন বিহার পরিচালনা কমিটি এবং এলাকার উপাসক উপাসিকাদের আয়োজনে মরিশ্চ্যাবিল বিহার প্রাজ্ঞনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মরিশ্চ্যাবিল বন বিহার ৮তম কঠিন চীবর দান উদযাপন কমিটির সভাপতি রনঞ্জিত তঞ্চঙ্গ্যা। দানোত্তম কঠিন চীবর দানের তাৎপর্য, দান, শীল ভাবনা বিষয়ে ধর্ম দেশনা দেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু সুমন মহাস্থবির।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মরিশ্চ্যাবিল তপোবন অরন্য কুঠির এর ভিক্ষু জিন প্রিয় মহাস্থবির রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে আবাসিক ভিক্ষু ভিরিমা নন্দ স্থবির, রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু মেত্তা বংশ স্থবির, রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু সত্য প্রিয় স্থবির, মরিশ্চ্যাবিল বন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু প্রধান প্রজ্ঞাদেব মহাস্থবির, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আক্তার, বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিজয় গিরি চাকমা, রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের অর্থ সম্পাদক ধর্ম রতন চাকমাসহ মরিশ্চ্যাবিল বন বিহার কঠিন চীবর দান উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পূর্ণ বিকাশ চাকমা প্রমুখ।
ধর্মীয় আলোচনা শুরুতেই ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনা ও ভিক্ষুদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণের মধ্যদিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় আচারে বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পিন্ড দান, কল্পতরু দান, হাজারবাতি দানসহ নানাবিধ দান ও উৎসর্গসহ কঠিন চীবর দান অনুষ্টিত হয়।
উল্লেখ, বৌদ্ধদের আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে অর্থাৎ গৌতম বুদ্ধের সময়কালে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় তার প্রধান সেবিকা বিশাখা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা করে সারারাত ব্যাপী বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের গেরুয়া কাপড় (চীবর) বুনে গৌতম বুদ্ধকে দান করেছিলো বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত কঠিন চীবর দানকে সফল করতে কঠিন চীবর দান করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী পূণ্যার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এই কঠিন চীবর দান অনুষ্টিত হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.