কোভিড-১৯ মহামারীর কারনে সীমিত ও সংক্ষিপ্ত আকারে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দানোত্তম কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান শুক্রবার খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরে আর্যপুর বন বিহার, য়ংড বৌদ্ধ বিহার, বৈজয়ন্তী বৌদ্ধ বিহার, পানছড়ি উপজেলায় শান্তিপুর অরণ্য কুটির-এ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে অন্যান্য যে কোন দানের চেয়ে এই দান সর্বশ্রেষ্ঠ। সাধারণ সময়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সূতা কাটা, রঙ দেওয়া, কাপড় বুনা, সেলাই করে দান করতে হয়। এক দিনের মধ্যেই এই দান সম্পন্ন করতে হয় বলেই একে কঠিন চীবর দান বলা হয়।
করোনা মহামারির কারনে এ বছর কঠিন চীবর দান সীমিত ও সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠিত করা হচ্ছে। বেইন বুনা অর্থাৎ কাপড় তৈরীর কাজটি এ বছর বাদ দিয়ে এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়িতে সবচেয়ে বড় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান হচ্ছে ধর্মপুর আর্য বন বিহারে। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানে সকালে বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, পঞ্চশীল গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকালের পর্বে কঠিন চীবর দান ও ধর্মালোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এইসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির, শ্রীমৎ বোধিপাল মহাস্থবির, শ্রীমৎ ভদ্দশী মহাস্থবির।