রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার লাল্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে(সূবর্ণ জয়ন্তী) বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা, গুনিজন সংবর্ধনাসহ নানান অনুষ্ঠানের আয়োাজন করা হয়েছে।
গেল বৃহস্পতিবার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নিউ লাল্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান বড়ঋষি চাকমা। উদযাপন কমিটির অঅহ্বায়ক প্রভাত কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন, কাচালং সরকারি ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ দেওয়ান, বাঢ়ঘাইছড়ি পৌর মেয়র মো. জাফর আলী খান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুমিতা চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান দীপ্তিমান চাকমা, শিজক কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ দত্ত চাকমা ও নিউ লাল্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় সাবেক শিক্ষক অনন্ত সিং চাকমা প্রমূখ।
এর আগে সকালে একটি বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি উলগছড়ি বাজার ও উগলছড়ি শিজক সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো নিউ লাল্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় শুরু থেকে শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ৪০ জন গুণীজনকে সংর্বধনা দেয়া হয়।
এদিকে, সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ৫০ বছর পর বিদ্যালয়ের সহপাঠীদের দেখা-দেখি হলে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। তবে অনেকে দীর্ঘ বছর পর দেখা হওয়ায় একে অপরকে চিনতে পারছেন না তাঁরা। তারা সেই শৈশবের স্মৃতিগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সাহায্যপৃষ্ট প্রকল্পের রাঙামাটি সহকারী পরিচালক দয়াল কুমার চাকমা, অনিল কুমার চাকম, মুছা আকবর, প্রফুল্ল কুমার চাকমা, অনন্ত সিং চাকমাসহ অনেকে। এক পর্যায়ে তারা আনন্দ ও উৎসবের মেতে উঠেন|
এডিবি’র কর্মকর্তা নিউ লাল্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থী দয়াল কুমার চাকমা জানান, ১৯৬৯ সালে এই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। দীর্ঘ বছর পর সহপাঠীদের পেয়ে বিদ্যালয়ের স্মৃতিচারণ করেছি ও সহপাঠীদের সাথে অনেক মজা করেছি,খুবই ভাল লেগেেছ।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য,১৯৬৩ সালে নিউ লাল্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সরকারীকরণ হয় ১৯৭৩ সালে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর,