গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল বলেছেন, প্রেস কাউন্সিল একেবারে অকার্যকর। এ প্রেস কাউন্সিল আর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। এই প্রেস কাউন্সিল নতুন করে একটি প্রতিষ্ঠান করা দরকার যা নতুন করে কার্যকর হতে পারে। এ প্রেস কাউন্সিল গ্রহনযোগ্যতা,বিশ^াসযোগ্যতা হারিয়েছে কারণ এটি একটি সরকারী দপ্তরে পরিণত হয়েছে। অথচ হওয়ার কথা ছিল স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও তদারকি প্রতিষ্ঠান। সংবাদপত্র কোথায় যাচ্ছে বা সংবাদপত্রগুলো কোথায় হয়রানির শিকার হচ্ছে তার প্রতিরোধ করা। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার রাঙামাটি,বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সন্মেলনে কক্ষে মতবিনিময় সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য বেগম কামরুন্নেসা হাসান,মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মোঃ মোস্তফা সবুজ। সভায় তিন পার্বত্য জেলা থেকে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার প্রায় ৮০ সংবাদ কর্মী অংশ নেন।
কামাল আহমেদ আরো বলেন, দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে সাংবাকিতা পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছুটা ভিন্নটা রয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে গণমাধ্যম কর্মীদের বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। গোষ্ঠীগত, গোত্রগতসহ নিরাপত্তা বাহিনীর চাপ রয়েছে। সমতলের চেয়ে এখানে বাড়তি ব্যয়, বাড়তি শ্রম রয়েছে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, গণ্যমাধ্যম সংস্কারের জন্য সব থেকে বড় অংশীজন হলো জনসাধারণ। ইতোমধ্যে ৪৬ হাজার মতামত নেওয়া হয়েছে। ইতোধ্যে এর মতামত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সুপারিশমালাও নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের সুপারিশ মালা পেশ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের জবাব দিহিতা ও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুপারিশমালা দেওয়া হবে । পেশাগত বাধা ব্যাপারে আইনী সুরক্ষা করা দরকার। বিগত ১৫ বছরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে মানহানিসহ বিভিন্ন হয়রানির মামলা হয়েছে সেগুলোর প্রত্যাহার করা দরকার ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া দরকার তার সুপারিশ করা হবে এ সংস্কার কমিশনে।
এসময় পাহাড়ের সংবাদকর্মীরা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বদা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকে। কিন্তু তারা পরিশ্রম অনুযায়ী বেতন-ভাতা পান না। তাদের জীবিকা এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। এছাড়া সাংবাদিকদের জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত অর্জন সাপেক্ষে নিয়োগ প্রদান এবং যারা সাংবাদিকতা পেশায় আসতে চাইলে তাদের জন্য প্রেস কাউন্সিল বা পিআইবি কর্তৃক পাশ করা দরকার। এছাড়া সংবাদ কর্মীরা নবম ওয়েষ্ট বোর্ডসহ মফস্বল সাংবাদিকদের নানান হয়রানিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
--হিলবিডি/সম্পাদনা/সিআর.