পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক পাহাড়িদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবিপ্রবি) উপাচার্য(ভিসি) নিয়োগসহ অন্যান্য দাবিতে মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে পাহাড়ী শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ১৮ আগস্ট রাবিপ্রবি’র উপাচার্য সেলিনা আখতারকে শিক্ষার্থীরা পদত্যাগে বাধ্য করে। এর থেকে পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পরিচালনা, শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষক নিয়োগসহ নানা কার্যক্রমে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ে সেশনজটেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সইকৃত পার্বত্য চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে স্বীকৃত। স্মরণাতীতকাল থেকে এ অঞ্চলে বসবাসকারী পাহাড়িদের শাসনতান্ত্রিক ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি, সামাজিক রীতিনীতি, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় জীবনধারা বাঙালি জনগোষ্ঠী থেকে স্বতন্ত্র। উপজাতীয় অধ্যুষিত বিশেষ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণকল্পে তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সম্বলিত বিশেষ শাসন ব্যবস্থা বিদ্যামান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনার জন্য কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় পাহাড়িদের অগ্রাধিকার প্রদানের কথা বলা হয়েছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ শাসন ব্যবস্থা, স্বাতন্ত্র্যতা ও জাতি বৈচিত্র্যতার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এনে রাবিপ্রবি’র উপাচার্য, উপ উপাচার্য, প্রক্টর, ট্রেজারার ও অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্বত্য চুক্তির ধারা ও উপধারা অনুসরণ বাস্তবসম্মত ও যুক্তিসিদ্ধ।
স্মারকলিপিতে পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক স্থানীয়দের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাবিপ্রবি-তে উপাচার্য, উপ উপাচার্য, প্রক্টর, প্রভোস্ট,শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকল প্রশাসনিক পদে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের নিয়োগ ও গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তির পরীক্ষার পাশ মার্ক শিথিলের দাবী জানানো হয়েছে।
--হিলবিডি/সম্পাদনা/সিআর.