এনসিটিবি কর্তৃক নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে “আদিবাসী” শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে ঢাকায় “সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা” উপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগে ও নিন্দা জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
বুধবার পিসিপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক থুইলাপ্রু মারমার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার পূর্ব ঘোষিত এনসিটিবি কার্যলয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে “স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি” নামক উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের হামলায় ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছে। এনসিটিবির সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে একটি উগ্রসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন তথাকথিত ভূঁইফোড় সংগঠন কিভাবে পাহাড়িসহ দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার শিক্ষার্থী-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করতে পারে? এই ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সেটলারদের কিছু শিক্ষার্থী ও তাদের পেছনে উগ্রসাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠির সম্পৃক্ততা রয়েছে।
ঢাকার মতো জায়গায় আজকের এই হামলা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি পরিকল্পিত হামলা উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, তথাকথিত “স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি” নামক উগ্রসাম্প্রদায়িক সংগঠনটির লোকজন মঙ্গলবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা হুমকি দিয়ে আসছে এবং বুধবার সকাল থেকে তারা ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও লাঠিতে জাতীয় পতাকা বেঁধে এনসিটিবি ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল। পরবর্তীতে “সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার” ব্যানারে এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচির মিছিলটি সেখানে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ন্যাক্কারজনক।
বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চগ্রামের সেটলার বাঙালিসহ দেশের উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি “আদিবাসী” ইস্যুকে সামনে এনে পাহাড়ি জনগণ বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জিগির তুলে দেশের অপরাপর মানুষের কাছে জাতিগত বিদ্বেষ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর পেছনে রাষ্ট্রীয় কোন সংস্থার লোকজন উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে বলে অবিযোগ। বিবৃতিতে অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি জানানো হয়েছে।
--প্রেস বিজ্ঞপ্তি।