পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষোর্থীদের প্রথম পর্বে ৫ শত স্কূল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শনিবার রাঙামাটিতে শিক্ষা উপকরণ এবং স্কুল পোষাক তৈরির নগদ অর্থ প্রদান করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দূর্গত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপরণ ও অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড, গোলাম ফারুক । এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারু মান্নান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অন্ঞ্চলের উপ পরিচালক (কলেজ) ড. গাজী গোলাম মাওলা, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের খাতা, কলম, জ্যামিতি বক্স শিক্ষা উপকরণ এবং স্কুল পোষাক তৈরির নগদ অর্থ হিসেবে এক হাজার টাকা প্রদান বিতরণ করা করেন প্রধান অতিথি।
জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন জলা শিক্ষা অফিসার নির্মল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবির. রাঙামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম খীসরাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাংবাদিক মোঃ মোস্তফা কামাল।
অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রধান গন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, মাধ্রমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ,সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।পরে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ এবং স্কুল পোষাক তৈরির জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় মাধ্যমিক পরযায়ের যে সমস্ত শিক্ষার্থীর দূরযোগে কারণে পাঠ্য বই বিনষ্ট হয়েছে সে সমস্ত বই শিক্ষা অধিপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে রাঙামাটি জেলার ১ হাজার ৫ শত সেটের বই এর চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড, গোলাম ফারুক বলেন, ভুমি ধসে রাঙামাটি জেলার মাধ্যমিক পরযায়ের যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ক্ষতি হয়েছে সে সব ক্ষতি কাটিয়ে উঠে পূর্নোদমে এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পরিবশে নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের যে সমস্ত জেলায় প্রাকৃতিক দূরযোহের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। দূরেযোগের কারনে দূর্গত কোন শিক্ষার্থীর লেকপাড়া যাতে বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারে শিক্ষা অধিদপ্তর সজাগ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, রাঙামাটিতে ভযাবহ প্রাকৃতিক বির্পযয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা শিক্ষা অধিদপ্তরের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেওে সহায়তার হাত সম্প্রসারিত করার আহবান জানিয়ে বলেন রাঙ্গামাটির ইতিহাসের স্মরণকালের এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপরযয়ে যে ক্ষয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.