• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
ডিজিটাইজেশন হলে পার্বত্যাঞ্চলে ভূমি ব্যবস্থাপনা সমাধান সহজ হবে-পার্বত্য উপদেষ্টা                    ডাকসু নবনির্বাচিত জিএস ফরহাদ রাঙামাটিরই আলোকিত সন্তান                    ভিপি সাদিক খাগড়াছড়িতে বেড়ে উঠা এক আলোকিত তরুন                    রাবিপ্রবিতে ষ্টার্টআপ এন্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়থ বিষয়ক সেমিনার                    আশিকা দরপত্র বিজ্ঞপ্তি                    রাবিপ্রবিতে অফিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কর্মশালা                    রাঙামাটিতে সিপিবি’র নেতৃত্বে সমীর ও অনুপম                    পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য পুনঃস্থাপন ও সম্প্রদায়ের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষনে ১২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন                    বিলাইছড়িতে তথ্য অফিস কর্তৃক নারী সমাবেশ                    রাঙামাটিতে কলা গাছের আঁশের স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রদর্শনী ও উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে পুষ্টি পরিষেবার ঘাটতি পূরণে জন্য স্থানীয় লাইন বিভাগের সাথে সভা                    রাঙামাটিতে দুই বান্ধবীর একসাথে বিষপানে একজনের মৃত্যু,আরেকজন গুরুত্বর অসুস্থ                    রাঙামাটিতে সেনা অভিযানে জেএসএসের সশস্ত্র সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার                    রাঙামাটিতে সনাকের বলপিয়ে আদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসিজি’র গ্রুপ গঠন                    রাঙামাটিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত                    জীববৈচিত্র্য পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় সবুজায়নের খাগড়াছড়িতে চারা বিতরণ                    রামগড়ে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা                    অনিয়মের অভিযোগে রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে দুদকের অভিযান                    প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সরকারী সেবা সম্পর্কে অবহিত করতে গণ সংলাপ                    ভ্যান্ডর তালিকাভুক্তিকরণ দরপত্র আহ্বান বিজ্ঞপ্তি                    রাজস্থলীর মিতিঙ্গাছড়িতে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা                    
 
ads

অন্ধকার পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন বিদ্যুতের আলো ছড়াচ্ছে-প্রধামন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 28 Nov 2019   Thursday

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম এক সময় অশান্ত ছিল। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শান্তি চুক্তির মাধ্যমে তাঁর সরকার এ সমস্যার সমাধান করেছে এবং এক সময়ের অন্ধকার পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন বিদ্যুতের আলো ছড়াচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে এই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো। স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্ত পরিবেশ ছিল। কিন্তু ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হয়ে ওঠে।


তিনি বলেন, ’৯৬ সালে তাঁর ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান এবং এর কারণ চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছিল যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাটা রাজনৈতিক। কাজেই রাজনৈতিক পথেই তাঁর সরকার এটি সমাধানের উদ্যোগ নেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে। সেখানকার ১ হাজার ৮শ’ অস্ত্রধারী আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের আমরা পুনর্বাসন করেছি।’


বিএনপির আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। এখন সেখানে উন্নয়নের ঢেউ উঠেছে। সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সেখানে রাতদিন কাজ হচ্ছে। অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হচ্ছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থাপনা, বিশ্বের ৭ম বৃহৎ ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার, ভ্রাম্যমান গবেষণা তরী এবং শিপিং কর্পোরেশনের ৫টি নতুন জাহাজসহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার সময় এসব কথা বলেন। 


উদ্বোধনীর সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুল উশৈ সিং, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য দিক এবং পৃথক ভিডিও চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করেন।


প্রধানমন্ত্রী ৪টি প্রকল্পকে কেন্দ্র করে প্রকল্প এলাকার প্রশাসন এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকার বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বলে গ্রিড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব না। এ কারণে আমরা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলোকিত করেছি।


প্রধানমন্ত্রী এ সময় ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনকালে সারাদেশের প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাবার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলবে। কাজের গতি বাড়বে, সময় বাড়বে। বিদ্যুতের আলোয় কাজ হবে।’

 

উল্লেখ্য, প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৯। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭৬ কোটি ৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সরবরাহকৃত মোট সোলার প্যানেল ১৩ হাজার ৭০৪টি। তিনটি পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলার ১২৮টি ইউনিয়নের ১৯শ’ ২৭টি গ্রাম বা পাড়ায় বাস্তবায়িত হয়েছে। আরো ৪০ হাজার পরিবারকে সোলার প্যানেলের আওতায় আনার মাধ্যমে পার্বত্য এলকায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য ২১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন,কাপ্তাই হ্রদে একটি ভাসমান গবেষণাগার হিসেবে আমরা এই গবেষণা তরীর কাজ আজ উদ্বোধন করলাম।


তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের বৈজ্ঞানিক ও মৎস গবেষকগণ গবেষণা করে মৎস উৎদপান বৃদ্ধি করতে পারবেন। ফলে আমাদের মৎসজীবী জনগণের জীবন-মানের উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের আমিষের চাহিদাও পূরণ সম্ভব হবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে মৎস সম্পদ বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে মৎস প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পও গড়ে তুলতে পারবো। এতে যেমন কর্মসংস্থান হবে তেমনি দেশের রপ্তানি পণ্যেও সম্ভার বৃদ্ধি পাবে।


চট্টগ্রাম ভেটেরনারী ও এ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যম্পাস’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় (২০১৬-২০২০) ক্রয়কৃত এই ভাসমান তরীর মূল্য ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর মোট প্রকল্প ব্যয় ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ্এর দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার, প্রস্থ ৮ মিটার এবং গভীরতা এক দশমিক ৫ মিটার। এখানে লিমনোলজি,ডিজিজ এবং ফিশিং টেকনোলজির তিনটি গবেষণাগার থাকবে। ৬৮ হাজার ৮শ’হেক্টরের কাপ্তাই লেকে বর্তমানে মৎস উৎপাদনের পরিমান বছরে ১০ হাজার ১৫২ মে.ট.।


প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মৎস গবেষণায় সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীগণ এবং কাপ্তাই হ্রদ এলাকার প্রায় ১৮ হাজার জেলে পরিবার।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

 

 

 

সংশ্লিষ্ট খবর:
ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ