রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেছেন, মুসলমানের কৃষ্টি-সংস্কৃতির মধ্যে হিজরি নববর্ষ অন্যতম। কারণ হিজরি সনের তারিখ অনুযায়ীই ইসলামের সকল আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়ে থাকে। অথচ এই বছরটি কিভাবে আসে আর কিভাবে বিদায় নেয় তা মুসলমানদের মধ্যে অনেকেই জানেননা। তিনি বলেন, ইসলামী সংস্কৃতির চর্চার অভাবেই অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটছে। এতে করে প্রজন্ম বিপদগামী হচ্ছে। হিজরি নববর্ষের মত অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে সমাজ থেকে অপসংস্কৃতি দুর করতে হবে।
রোববার হিজরি নতুন বছর বরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যদানকালে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।হিজরি নতুন বছর বরণ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে রাঙামাটি হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদ।
রাঙামাটি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ। রাঙামাটি হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের আহবায়ক মাওলানা এম এ মুস্তফা হেজাজীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের প্রশিক্ষক ম আ শ শামসুদ্দীন শিশির। হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ইয়াছিন রানা সোহেলের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুল আলম। বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি সরকারি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও কাপ্তাই আল-আমিন নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আলহাজ¦ মাওলানা জসিম উদ্দিন নুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ¦ মাওলানা মুহাম্মদ আখতার হোসেন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন জেলা গাউছিয়া কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আবু সৈয়দ, জেলা গাউছিয়া কমিটির সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ জানে আলম, বর্তমান কমিটির সদস্য ্আলহাজ¦ আবদুল করিম খান, হাজী মোঃ নাছির উদ্দিন, রাঙামাটি ট্রাক-মিনি ট্রাক মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সভাপতি আরহাজ¦ সাব্বির আহমদ ওসমানী প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যানে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।