খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বড়াদম এলাকায় সোমবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে মেরুং বেতছড়ি গ্রামের ধন্যসেন চাকমার ছেলে নবীন জ্যোতি চাকমা (৩৮), ইন্দ্রমুনি পাড়ার তঙ্যারাম চাকমার ছেলে ভূজেন্দ্র চাকমা (৫২) ও হাচিনসনপুর গ্রামের সুজিত প্রিয় চাকমার ছেলে রুচিল চাকমা ওরফে রাসেল (২৬)। নিহত ভুজেন্দ্র চাকমা (৫২), তিন সন্তানের জনক বলে জানা গেছে। নিহতরা ইউপিডিএফের কর্মী বলে জানা গেছে।
আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালের দিকে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বড়াদম এলাকায় ৭ থেকে ৮ জনের সন্ত্রাসী দল অবস্ধান করছে বলে জানতে পারে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে উক্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি টহল দল ওই এলাকায় গেলে এতে সন্ত্রসীরা টের পেয়ে গুলিবর্ষন করে। এসময় উভয়ের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে নবীন জ্যোতি চাকমা,ভূজেন্দ্র চাকমা ও রুচিল চাকমা ওরফে রাসেল নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও একটি আমেরিকান তৈরী এম ৪ অটোমেটিক কার্বাইনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর পর পুরো এলাকায় জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে বলে জানান বড়াদম এলাকার নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। নিহতরা আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের কর্মী বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ির সার্কেল এসপি মোঃ রওনক আলম জানান দীঘিনালা বড়দাম আর্মি ক্যাম্প থেকে সংবাদের ভিত্তিতে দোজা পাড়া এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ তিনটি লাশ উদ্ধা করা হয়, বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.