পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু-বিহু উপলক্ষে বন নির্ভর জনগোষ্ঠীদেরকে নিয়ে মাস ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
চাকমা রাজ কার্যালয় আয়োজনে উদ্যোগে ইউএসএইড ও সিএচডিএফ-ইউএনডিপি’র সহযোগীতায় ও চিটাগং হিল ট্রাক্টস ওয়েস্টসেটকো-ম্যানেজমেন্ট এ্যাস্টিভিটিস-সিএইচটিডব্লিউসিএ প্রকল্পের আওতায় আদিবাসীদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মাস ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতাভূক্ত বন নির্ভর জনগোষ্ঠীদের নিয়ে বিঝু (চৈত্র সংক্রান্তি) উপলক্ষে ২৫টি ভিলেজ কমন ফরেষ্ট(ভিসিএফ) এলাকায় এ ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১৫ মাচ লংগদু উপজেলার ১৫ নং নোল্লুয়া মৌজার চিবেরেগা গ্রামে দিনব্যাপী আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ১৫ নং নোল্লুয়া মৌজার চিবে রোগা আদামের কার্বারী বিনয় প্রসাদ চাকমা এবং অতিথি ছিলেন নোল্লুয়া মৌজার হেডম্যান এলোন বিকাশ চাকমা, উগল ছড়ি মহাজন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবীন শিক্ষক প্রফুল্ল কুমার চাকমা, ১১ নং পেদান্য মা ছড়া মৌজার কার্বারী মনো ময় চাকমা, ৯ নং মারিশ্যা চর মৌাজার কার্বারী তপন জ্যোতি চাকমা, প্রকল্পের প্রশিক্ষণ ও এ্যাডভোকেসী অফিসার নিক্সন চাকমা ও নোল্লুয়া চাগালার এলাকাবাসাী। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন প্রকল্পের ফিল্ড কোর্ডিনেটর সুশীল বিকাশ চাকমা। পুরস্কার বিতরন শেষে সন্ধ্যায় সুবলং এলাকার বিখ্যাত গেংখুলী রমনী মোহন চাকমা’র রাতব্যাপী গেংখুলী পরিবেশন করা হয়।
আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঘিলে খারা, নাদেং খারা, ফোর খারা, গুডু (হাডুডু) খারা, কাট্টোল খারা, বাঁশ খরম দৌড়, ধুধুক বাজানো, সিঙে বাজানো প্রতিযোগীতা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা চাকমা রাজ অফিসকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, জুম নির্ভর জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা ও গ্রামীন লোকগীতি-উভগীত-গেংখুলী চর্চার অভাবে প্রায়ই হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি যদি নিয়মিত চর্চার করা হয় তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.