সুউচ্চ পাহাড়ের ওপরে মিশ্র ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার এক শিক্ষিত বেকার যুবক হ্লাচিংমং চৌধুরী। বিভিন্ন প্রজাতির আম, বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন জাতের ফল, পেঁপে, কলা, সফেদা, ড্রাগনসহ নানা জাতের ফলের চাষ করে প্রায় ১০ একর জায়গায় গড়ে তুলেছেন তরু বীথি মিশ্র ফল বাগান নামের এক বিশাল ফলজ বাগান। এ বাগান গড়ার ফলে পাহাড়ের শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে অনুপ্রেরণার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিএ পাশ করা হ্লাচিং মং চৌধুরী জানান, চাকরির পেছনে ঘুরে ঘুরে এক সময় ক্লান্ত হয়ে ২০১৬ সালের শেষের দিকে চাকরীর সব আশা বাদ দিয়ে মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি সড়কের পাশে ধুমনিঘাট নামক এলাকায় গড়ে তুলেন বিশাল এ ফলের বাগান। সুউচ্চ পাহাড়ে প্রথমে ৪ শতাধিক ড্রাগন ফলের গাছ লাগান। এর পর পর আরো বিলুপ্তপ্রায় নানা প্রজাতির ফলের গাছ লাগান। প্রথম দিকে ফলের চারা রোপণের সময় পানির জন্য সমস্যা দেখা দিলেও পরবর্তীতে জেনারেটরের মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন তিনি। পরের বছর থেকেই ফলন পেতে শুরু হয়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিকেজি ড্রাগন ফল এখন ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রিও করছেন তিনি। বাগানে এখন ১ হাজারের অধিক ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। পুরো বাগানের ফলন উৎপাদন শুরু হলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাইকারী দরে বিভিন্ন প্রজাতির ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন হ্লাচিংমং চৌধুরী।
তিনি আরো জানান, তাঁর এ বাগানে কাজ করে প্রায় ১০-১২টি পরিবারের চলছে জীবন-জীবিকা।
এই বাগানটি এখন শুধুমাত্র ফল উৎপাদনক্ষেত্র হিসেবে নয় সবমিলিয়ে বাগানটি মহালছড়ির জন্য মডেল বাগান হিসেবে সৌন্দর্য উপভোগের স্থানে পরিচিতি লাভ করেছে।
স্থানীয় এক কৃষক রনজিত কুমার চাকমা জানান, হ্লাচিং মং চৌধুরী এ উদ্যেগ গ্রহন করার ফলে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের উৎসাহ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি নিজেও অর্থনৈতিকভবে সচ্ছলতা লাভ করেছেন।
এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেটিনা চাকমা বলেন, গত কৃষি মেলায় মিশ্র ফল চাষি হিসেবে পুরষ্কার লাভ করেছেম হ্লাচিং মং চৌধুরী। আমরা কৃষি অফিস থেকে সব ধরণের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। এ বাগান দেখে অনেকেই মিশ্র ফল চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.