রাঙামাটিতে সোমবার থেকে দশ দিন ব্যাপী সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার কৃষক মাঠ স্কুল বিষয়ে সহায়তাকারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ-সিএইচটিডিএফ-ইউএনডিপি’র যৌথ বাস্তবায়নে এবং ড্যানিডা অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্ধোধন করেন জেলা পরিষদচেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের আহ্বায়ক বৃষকেতু চাকমার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা, মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের এফএফএস টেকনিক্যাল কোয়ালিটি কো-অর্ডিনেটর ফিরোজ ফয়সাল প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা সুকিরণ চাকমা। কর্মশালা শেষে চেয়ারম্যান প্রশিক্ষাণার্থীদের মাঝে প্রশিক্ষনের উপকরণ বিতরণ করেন। কর্মশালায় কৃষি, মৎস্য চাষ ও প্রাণী সম্পদ বিষয়ের উপর প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলার মোট ৩০জন কৃষক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন।
উদ্ধোধনকালে পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকদের সুবিধার্থে দশ টাকা দিয়ে একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে ঋণ প্রদান’সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। বর্তমানে দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশ শ্রীলংকায় চাউল রপ্তানি করছে এটি আমাদের দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, পড়ার জন্য যেমন কোন বয়স লাগে না তেমনী প্রশিক্ষণের কোন শেষ নেই। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা হচ্ছে অমূল্য সম্পদ। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা দুটোই প্রয়োজন। তিনি বলেন, আজকের অর্জিত প্রশিক্ষণের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে কৃষি উন্নয়নে নিজের, প্রতিবেশী, গ্রাম এবং সমাজ তথা দেশের উন্নয়নে প্রয়োগ করতে হবে। তবেই পার্বত্য অঞ্চলে কৃষিক্ষেত্রে বিল্পব ঘঠানো সম্ভব। প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাকে গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের হাতে কলমে বুঝাতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর পরিমান অনাবাদি জায়গা রয়েছে সেগুলোকে কৃষিক্ষেত্রে সঠিক ভাবে কাজে লাগালে এখানকার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যনো জেলার চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.