রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। বাঘাইছড়ির ১৬টি গ্রাম সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে, বুধবার রাতে উপজেলার হাজি পাড়ায় বুধবার রাতে বন্যার পানিতে ডুবে উত্তম ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গেল কয়েক দিনে টানা বর্ষনে ও পাহাড়ী ঢলে বাঘাইছড়ির উপজেলার ১৬টি গ্রাম সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে যায়। পানি বন্দি পড়ে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওায় অনেক কৃষি জমি তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার পর্ষন্ত বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন দূর্গতদের জন্য এখনো কোন ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে পারেনি। তবে স্থানীয় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে দূর্গতদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেছে। জেলা প্র্রশাসন বাঘাইছড়ি দূর্গত এলাকার জন্য ২০ মেট্রিক টন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দিয়েছে। অবিরাম বৃষ্টি ও সীমান্ত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাচালং নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলার ১৬টি গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে। এখনো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় বাঘাইছড়ির বিস্তৃণ এলাকার কৃষি জমি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মার্কেটসহ বিভিন্ন পাকা ভবনে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে, পাহাড়ী ঢল ও অতি বর্ষনের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি উচ্চতা বাড়তে থাকায় লংগদু, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, নানিয়ারচরের নি¤œাঞ্চলের বসতবাড়ি ও কৃষি জমি পানিতে ডুবে গেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) এস এম সফি কামাল জানান, বাঘাইছড়িতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং উপজেলার কর্মকর্তা কাজ করছেন। বন্যা দুর্গতদেও জন্য অতিরিক্ত ২০ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, জেলা প্রশাসক কাপ্তাই জল বিদ্যুত কেন্দ্রের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে বলেছেন হ্রদে পানি ছেড়ে দেয়ার জন্য। যাতে দ্রুত পানি কমে যেতে পারে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.