‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত আইনে পাহাড়ি নারীদের অধিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, সম্পত্তিতে অধিকার বা উল্টারাধিকার ক্ষমতায়নের প্রধান ভিত্তি। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন (১৯৮৯ সনের ১৯,২০ ও ২১ নং আইন)এর ৬৬ ধারা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনের (১৯৯৮ সনের ১২নং আইন)-এর ২২ (ঙ) ধারতে আদিবাসী সমাজের রীতিনীতি ভিত্তিক প্রথাগড় বিচার ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
আদিবাসী সমাজ ব্যবস্থায় ধর্ষণের মতো ভয়াল নির্যাতনের অনাচার না থাকলেও বউ পেটানোর ঘটনা ঘটছে। তাই আদিবাসী নারী সমাজের সমস্যাগুলোর নিরসন হওয়া জরুরী।
শুক্রবার খাগড়াছড়ি জেলা শহরের টঙ কমিউনিটি সেন্টারে খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি (কেএমকেএস) এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কেএমকেমস’র নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনার প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা। নারী অধিকার সংগঠক এড. সুস্মিতা চাকমার পঠিত মুল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান বিউটি রানী ত্রিপুরা, চাঙমা একাডেমীর সভাপতি ও শরণার্থী নেতা সন্তোষিত চাকমা বকুল, আলো’র নির্বাহী পরিচালক অরুণ কান্তি চাকমা, তৃণমুল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা, এড. অনুপম চাকমা এবং সাংবাদিক চিংমেপ্রু মারমা।
সভায় পাহাড়ি নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে উপস্থিত নারী নেত্রীদের পক্ষ থেকে ১২ দফা সুর্নিদিষ্ট সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে প্রথাগত আইন বিশ্লেষণ করে যুগোপযোগী করা, নারীর প্রতি বৈষম্যমুলক ও অমর্যাদাকর প্রথা ও রীতিনীতিগুলো বর্জন, সম্পত্তিতে পাহাড়ি নারীর উল্টরাধিকার নিশ্চিত, বিবাহ নিবন্ধনের উদ্যোগ নেয়া, প্রথাগত অইনে পুরুষদের বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা, লৈঙ্গিক শ্রমবিভাজন বন্ধ, প্রথাগত প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতার ভিত্তিতে নারীকে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেয়া, প্রথাগত সামাজিক আদালতের রায়ের যথাযথ প্রক্রিয়ায় রেকর্ড সংরক্ষণ, রায় লেখা ও রেকর্ড সংরক্ষণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন এবং সামাজিক বিচারের শুনানীতে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.