কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইখ্যং ইউনিয়নে দৌংগ্যকাটা গ্রামে স্থানীয় চাকমা জাতিসত্তাদের ভূমি বেদখল বন্ধ, ভূমি দস্যু ও হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আট গণসংগঠনের কনভেনিং কমিটি। সোমবার ৮ গণসংগঠনের কনভেনিং কমিটির সদস্য সচিব অংগ্য মারমার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ভূমি দস্যু মত্তল ভূষণ তার আত্মীয়স্বজন ও ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে চাকমাদের রোপন করা জমি থেকে ধান কাটতে যায়। এসময় জমির মালিক যন্ত্রবী চাকমা (৫০), রামিচিঙ চাকমা (৩০), শিংক মালা (২৭) স্বামী ব্যাংগ্যা চাকমা,তৌচিংউ চাকমা স্বামী রামঙচা চাকমা (৪৫), পাইঞ্য চিঙ স্বামী পুমঙচা চাকমা (২৫), তৈমা চাকমা স্বামী বাইল্যা চাকমা (২৫), উৎপল চাকমা (১৬) বাধা প্রদান করলে ভূমি দস্যুরা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে সবাই আহত হন। আহতদের মধ্যে শিংক মালা (২৭) স্বামী ব্যাংগ্যা চাকমা, তৌচিংউ চাকমা স্বামী রামঙচা চাকমা (৪৫), পাইঞ্য চিঙ (২৭) স্বামী পুমঙচা চাকমা (২৫), তৈমা চাকমা (২৭) স্বামী বাইল্যা চাকমা লাঠির আঘাতে মাথা ফেঁটে যায় এবং যন্ত্রবী চাকমার এখনো জ্ঞান ফেরেনি। আহতদের কক্সবাজার হাসপাতলে চিকিৎসাাধীন রয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে টেকনাফে চাকমা জাতিসত্তার ভূমি বেদখল বন্ধ, ভূমি দস্যু ও হামলাকারী মত্তল ভূষণ এবং তার দোসরদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হলেন,গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাইকেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরূপা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা (২), সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কাজলী ত্রিপুরা ও প্রতিরোধ সাস্কৃতিক স্কোডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.