বরকল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। বুধবার বরকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, রাঙামাটির বরকল ও খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে গেল বছর এক ব্যক্তি নানান অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে দরখাস্ত করেন দুদকের মহাপরিচালকের বরাবর। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন দুদকের তদন্ত দল।
জানা যায়,গেল বছর মংগা প্রু নামে এক ব্যাক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনের মহা পরিচালকের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন বরকল ও রাম গড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক মোঃ সফিকুর রহমান ভূইঁয়াকে তদন্ত ভার দেন কমিশনের মহাপরিচালক। তদন্ত কর্মকর্তা বুধবার বরকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো পরিদর্শন করেন। সেই সাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কাগজপত্র দেখেন ও রোগীদের সাথে কথাবার্তা বলেন।
এর আগে তদন্ত দলটি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন ও তদন্ত করেন। তদন্তের সময় জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের মোঃ ওজিউল্লাহ ও জেলার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি এনামুল হক হারুন উপস্থিত ছিলেন।
বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুইমিপ্রু রোয়াজা জানান,আমার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে জড়িয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে এবং এ প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করার একটা কৌশল মাত্র। যে অভিযোগ করেছে অভিযোগনামায় তার সঠিক নাম ও ঠিকানা নেই। ভূঁয়া নাম দিয়ে অভিযোগ করে আমার সম্মানহানি করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এসব ভূঁয়া নাম ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে তিনি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা দূর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোঃ সফিকুর রহমান ভূইঁয়া বলেন, বরকল ও রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথমে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বরকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরেজমিনে পরিদর্শন ও তদন্ত করা হয়। তদন্তে কি পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি তদন্তের স্বার্থে বেশী কিছু বলতে চাননি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.