বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার রাতে জমকালো কনসার্ট ফর সলিডারিটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সার্বিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। এ এলাকার জনগোষ্ঠীর ক্রীড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা রাখছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। যা এ অঞ্চলের মানুষকে উৎসাহিত করেছে।
রাঙামাটি চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে আয়োজিত জমকালো কনসার্ট ফর সলিডারিটি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সেনা বাহিনীর রাঙামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সানাউল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন সেনাবাহিনীর সদর জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর নাঈমূল হাসান খাঁন।
শিল্পীদের মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে নৃত্য পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করা হয়। পরে জল পাহাড়ের গান নামের এ্যালবাম নামে রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ৮ জন পাহাড়ী শিল্পীদের মোট ১১টি গানের(৩টি বাংলা ও ৮টি চাকমা) অডিও সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এর পর পর ফুটবলে কৃতিত্ব রাখায় ঘাগড়া মহিলা ফুটবল দলকে এবং এসএ গেমস-এ অংশ গ্রহনকারী পাহাড়ী ক্রীড়াবিদকে সন্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানিকতা শেষে পাহাড়ের গুনী সংগীত শিল্পী রনজিত দেওয়ান ‘চেঙ্গে মিগিনি কাচলং--’ সংগীত দিয়ে সংগীত পরিবেশ শুরু হয়। এর পর পর রুপায়ন দেওয়ান, কোয়েল চাকমা, পার্কি চাকমা, জয়ন্তী চাকমা,নন্দন দেওয়ান, অর্চিরন মারমা গান পরিবেশন করেন। এছাড়া রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি স্থানীয় ব্যান্ড দল কনসার্ট পরিবেশন করেন। এসময় স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকরা কনসার্ট উপভোগ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা আরো বলেন, একটি জনগোষ্ঠীর যে সংস্কৃতি তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল সংগীত। পার্বত্যাঞ্চলের এ সংগীতের উন্নয়নে ধাপে ধাপে বিকশিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংগীত হতে হবে মানুষের কল্যাণের জন্য। যা বিকশিত হলে মানুষের মধ্যে কোন প্রকার শোষন নিপীড়ন নির্যাতন থাকবে না। তিনি এ লক্ষ্য নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলের সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশের মাধ্যমে জাতীয় সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য,পার্বত্য চট্টগ্রামের সংগীত শিল্পীদের প্রতিভা অন্বেষন ও মেধাকে আরো গতিশীল করতে সেনা বাহিনী রাঙামাটি সদর জোনের উদ্যোগে এই অডিও সিডি প্রকাশ ও কনসার্ট-এর আয়োজন করে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.