চরকায় সুতা কাটার মধ্যে দিয়ে জুরাছড়ি উপজেলার সুবলং শাখা বন বিহারে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব ।
বিহার প্রাঙ্গনে সুবলং শাখা বন বিহারের আবাসিক অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুদ্ধ শ্রী মহাস্থবীর ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা ফিটা কেটে দুদিন ব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসবের উদ্ধোধন করেন।
এ সময় বিহারের উপসক কমিটির সভাপতি ধল কুমার চাকমা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রর্বতক চাকমা, কুসুমছড়ি মৌজার হেডম্যান মায়া নন্দ দেওয়ান, উপাসক কমিটির সিনিয়র সদস্য জাপানী বিজয় দেওয়ান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন । এর পরে ভিক্ষুসংঘের কাছ থেকে পঞ্চশীল গ্রহণ করে পূণ্যার্থীরা। পঞ্চশীল প্রদান করেন বিহারের আবাসিক অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুদ্ধ শ্রী মহাস্থবীর।
এই উৎসবে যোগ দিতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে জুরাছড়িতে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, তথাগত গৌতম বুদ্ধের আমলে পূণ্যবতী বিশাখা কর্তৃক প্রবতিত ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা কাটা এবং সুতা দিয়ে কোমর তাঁতের মাধ্যমে তৈরী চীবর ভিক্ষুসংঘের উদ্দেশ্যে দান করা হয়।
এ নিয়ম অনুসরণ করে জুরাছড়িতে ১৯৯৩ সাল থেকে সুবলং শাখা বন বিহারে বৌদ্ধ ধর্ম্মালম্বীরা এই দান কার্য সম্পাদন করে আসছেন। বৌদ্ধ শাস্ত্র মতে এই দান সব চেয়ে বড় দান বলে একে বলা হয় কঠিন চীবর দান। ২৪ ঘন্টার মধ্যে চীবর তৈরী শনিবার বিকেলে ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্য দান করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.