পাহাড়ের তিন দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু উৎসবে মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
শহরের মধুপুর বাজারে বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়। পরে শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা নিজ নিজ পোশাক পড়ে অংগ্রহণ করেন। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক রণিক ত্রিপুরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব তৃপ্তিময় চাকমা। বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা, পৌরসভার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কিরণ মারমা ও সমাজ সেবিকা যুগতারা দেওয়ান। আলোচনা সভা শেষে ঐতিহাসিক গরিয়া নৃত্য ও সাঁওতাল নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
এর আগে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে উৎসবের শুভ সূচনা করা হয়। এতে নদীতে ফুল ভাসিয়ে নতুন বছরের জন্য শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়।
সভায় চঞ্চুমনি চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিগুলোর সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে এই বৈসাবি উৎসব। এই উৎসবের মধ্যে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি যুক্ত রয়েছে। কাজেই আমরা এই বৈসাবির ঐতিহ্যকে কিছুতেই ত্যাগ করতে পারবো না। তিনি প্রতি বছর যাতে নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশে বৈসাবি উৎসব আয়োজন করা যায় সেজন্য প্রশাসন ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.